এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ভোটে জিতে আর দেখা নেই এলাকায়! ‘চুল্লু’ খেয়ে হটাৎ উদয় তৃণমূল বিধায়কের! আছড়ে পড়লো জনরোষ!

ভোটে জিতে আর দেখা নেই এলাকায়! ‘চুল্লু’ খেয়ে হটাৎ উদয় তৃণমূল বিধায়কের! আছড়ে পড়লো জনরোষ!


বর্তমানে বাংলা তথা গোটা বিশ্ব লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে। করোনার এই কঠিন সময়ে, রাজনীতি নয় বরং মানবিকভাবে দাঁড়াতে হবে মানুষের পাশে বলে বারেবারেই আবেদন করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন বেশি করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন তাঁর দলের নেতা বা জনপ্রতিনিধিরা। এরকমই এক ঘটনায় এবার উত্তাল হয়ে উঠল বাঁকুড়ার লাল মাটির দেশ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের টিকিটে লড়ে বাঁকুড়া জেলার রাইপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন বীরেন্দ্রনাথ টুডু। কিন্তু অভিযোগ, ওই জয়ের পর থেকেই আর বিধায়ক সাহেবের নাকি দেখাই পাওয়া যায় নি এলাকায়! কিন্তু, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী দলীয় বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন – করোনা-আমপান নিয়ে বিরোধীরা ‘অপপ্রচার’ করছে! আর তাই রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভাতেই পাল্টা প্রচার চালাতে হবে, জবাব দিতে হবে এই সব ‘কুৎসার’।

আর এরপরেই যে বিধায়ককে রাইপুরবাসী ভোটের দিন ছাড়া দেখতে পান না বলে অভিযোগ, তিনিই হাজির হন এলাকায়। আর তারপরেই শুরু হয় তীব্র অভিযোগ, জনরোষ। বীরেন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে স্থানীয় জনতা অভিযোগ জানাতে থাকেন, তিনি নাকি মদ খেয়ে এলাকার পরিদর্শনে এসেছিলেন! শুধু তাই নয়, তাঁর গা থেকে নাকি ‘মদের তীব্র গন্ধও’ পাওয়া যাচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আর গ্রামবাসীদের এই জনরোষের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, শুধু বিক্ষোভ করেই গ্রামবাসীরা ক্ষান্ত হননি, বিধায়কের বিরুদ্ধে অনেক কুরুচিকর মন্তব্যও করেন তাঁরা। যদিও এত কিছু সত্বেও বিধায়ক বীরেন্দ্রনাথ টুডু কোনো রাগ দেখাননি গ্রামবাসীদের প্রতি। উল্টে তিনি তাঁদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, ওনাকে ভোট দিয়ে এখানের কাজ করার জন্য আমরা জিতিয়েছি। কিন্তু বিগত চার বছরে আমরা তাঁর কোন পাত্তাই পাইনি, কাজ করা তো দূরের কথা!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, আর সেই তিনিই মদ খেয়ে উদয় হলেন এতদিন পর! এছাড়াও এলাকাবাসীরা আরও অভিযোগ করেন, বিধায়ক নাকি মদ খেয়ে একজনের গায়ে হাতও তুলেছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর সত্যতা অবশ্য প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার পক্ষে যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি। তবুও ভিডিওতে শোনা কথা অনুযায়ী, গ্রামবাসীরা বলছেন যে অনেক কষ্টে এই মাওবাদী এলাকায় থাকেন তাঁরা। এমনকি ভোটের সময় মাওবাদীদের ভয় উপেক্ষা করেই তাঁরাতৃণমূলকে ভোট দিয়ে বীরেন্দ্রনাথ বাবুকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন।

ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতেই শুনতে পাওয়া যাচ্ছে, গ্রামবাসীরা আক্ষেপ করে বলছেন, গ্রামবাসীদের সেই কষ্টের কোনো মর্যাদাই দেননি নাকি বিধায়ক! আর তাই এই ভিডিও দিদি অর্থাৎ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কে পাঠাবেন তাঁরা। কেননা, বিধায়ক ‘চুল্লু’ খেয়ে এসেছেন আর তাঁর শরীর দিয়ে বাজে গন্ধ বের হচ্ছে! আর গ্রামবাসীদের এই ধরনের মন্তব্য শুনে রীতিমত থতমত খেয়ে যেতে দেখা যায় যান বিধায়ককে। উনি বিক্ষোভকারীদের ভাই বলেও ডাকেন।

কিন্তু, তাতেও ক্ষোভ বিন্দুমাত্র কমে না গ্রামবাসীদের! বিধায়ককে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ চলতেই থাকে। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিধায়ককে বলেই ভিডিও পোস্টকারীর দাবি। তৃণমূল বিধায়কের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন হট টপিক এ পরিনত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এই খবর প্রকাশ্যে আসতে অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। তবে এখনও তৃণমূল কংগ্রেস বা বীরেন্দ্রনাথবাবুর এই সম্পর্কে কোনো সরকারিভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!