এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না! এবার “ত্রিশূলে” দলকে বিদ্ধ করার বড়সড় হুঙ্কার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার

দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না! এবার “ত্রিশূলে” দলকে বিদ্ধ করার বড়সড় হুঙ্কার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একটা বড় অসুখ রয়েছে। সাংগঠনিক দুর্বলতা হোক বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দলে কেউ গুরুত্ব না পেলেই তৎক্ষণাৎ সেই সমস্ত তৃণমূল নেতারা হুমকি দিয়ে বসেন যে, তারা এবার অন্য কোনো পদক্ষেপ নেবেন। যার ফলে রীতিমতো তটস্থ হয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস দল। এবার সেই ঘটনারই বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। যেখানে জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু যত দিন যাচ্ছে, তত দলের অন্দরে বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করতে শুরু করেছেন।

সম্প্রতি জেলায় এসে মোহন বসুর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আশা করা হয়েছিল, এবার হয়ত জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু প্রশাসকমন্ডলীতে না থাকার জন্য যে রাগ করে বসেছিলেন, সেই রাগ মিটে যাবে। কিন্তু না, অরূপবাবু জেলা ছাড়ার সাথে সাথেই এবার দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতা। যার ফলে তার নতুন করে বিজেপি যোগের জল্পনা তৈরি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, আগামী পৌরসভা নির্বাচনে যদি তিনি টিকিট না পান, তাহলে তিনি ত্রিশূল চিহ্নে ভোটে দাঁড়াবেন বলেও ইতিমধ্যেই দলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে মোহন বসুকে। এদিন তিনি বলেন, “দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই‌। রাজ্য নেতৃত্ব চাইছে, জেলায় সংগঠন শক্তিশালী হোক‌। আমিও তাই চাই। কিন্তু এখানে দল ঠিকভাবে চলছে না। সরকারের কাজকর্মকে তুলে ধরে অপেক্ষা, এখানকার নেতৃত্ব নিজেদের তুলে ধরতেই ব্যস্ত।

সবমিলিয়ে আমি যেমনটা চাই, সেটা হচ্ছে না। এটাই বিরোধের জায়গা। আমি জলপাইগুড়ির মানুষের সঙ্গে রয়েছি। আমার কাছে সিম্বল বড় নয়। মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে। দল যদি নির্বাচনে লড়ার টিকিট না দেয়, তাহলে আমি ত্রিশূল প্রতীক নিয়ে দাঁড়াব। 30 বছর ধরে আমি জনপ্রতিনিধি। 17 বছর চেয়ারম্যান। মানুষ আমায় হাত চিহ্নে ভোট দিয়েছে। আবার জোড়া ফুলে ভোট দিয়েছে। এবার ত্রিশূল চিহ্নেও মানুষ ভোট দেবে।”

আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি মোহন বসু বুঝতে পেরেছেন যে, তিনি আগামী পৌরসভা নির্বাচনে দলের তরফে টিকিট নাও পেতে পারেন! আর তাই কি এবার রীতিমত দলকে অস্বস্তিতে ফেলে তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবেন বলে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন! কিন্তু যদি সত্যি সত্যিই তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা আগামী নির্বাচন আসতে আসতে পৃথকভাবে টিকিট নিয়ে দাঁড়ানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে কি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়বে না! এই ব্যাপারে কি বলছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “উনি যা খুশি বলতে পারেন। আমি কোনো মন্তব্য করব না। উনি অসুস্থ, আগে সুস্থ হয়ে উঠুন।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে মোহন বসুর বিরুদ্ধে সরব হয়ে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “উনি বিচক্ষণ মানুষ। অন্য প্রতীক চিহ্ন ভোটে লড়ার মত ভুল করবেন না বলেই মনে হয়। তবে নিশ্চয়ই ওনাকে উপযুক্ত জায়গায় দল ব্যবহার করবে। জেলার মানুষকে সঙ্গে নিয়েই দল এগোচ্ছে। মানুষও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা নেতৃত্ব এই ব্যাপারে কার্যত নীরব এবং নরম মনোভাব পোষণ করলেও, যেভাবে দিনকে দিন বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন মোহন বসু, তাতে জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের অন্দরমহলে ভূমিকম্প হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!