এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > খুনের আশঙ্কায় শুভেন্দু! বিধানসভাতেও নিরাপত্তা নেই, সোচ্চার বিজেপি!

খুনের আশঙ্কায় শুভেন্দু! বিধানসভাতেও নিরাপত্তা নেই, সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবদিক থেকেই বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন। তাই কি কোনোভাবেই বিজেপিকে আটকাতে পারছেন না বলে এবার নিজের ক্যাডারদের দিয়ে বিধানসভার ভেতরে বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন! গতকালের ঘটনার পর আজকে সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বিরোধীদের মধ্যে। কি হয়েছে গতকাল? গতকাল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের পর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় বের হওয়ার জন্য বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। আর তারপরেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের এই বিধানসভার কিছু কর্মচারী, যারা তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবেই পরিচিত, তারা স্লোগান দিতে শুরু করেন। আর সেই বিষয়কে হাতিয়ার করেই আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যা বললেন, তা চমকে যাওয়ার মত। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যের মানুষরাই যেখানে নিরাপদ নয়, সেখানে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার কথা বলে শত্রু হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিরোধী বিধায়করা। তাই বিধানসভার ভেতরেও তাদের ওপর নেমে আসতে পারে আঘাত। কিন্তু কেন এই কথা বলা হচ্ছে?

প্রসঙ্গত, আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ব্যাপারে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আশঙ্কা, “বিধানসভার ভেতরে কিছু কর্মচারীদের দিয়ে যারা তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত, তাদের দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তারক্ষীদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। তাই আমরা এবং আমাদের মহিলা বিধায়করা হেনস্থা হওয়ার আশঙ্কা করছি। প্রয়োজনে আমাদের খুন পর্যন্ত করা হতে পারে।” সত্যিই, ভাবা যায়! এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা? যেখানে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিরোধী দলের কন্ঠরোধ করতে না পেরে গণতন্ত্রের পীঠস্থান হিসেবে পরিণত বিধানসভাতেও একটা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস! তাদের গায়ের জোর আছে বলে, তারা এত নীচে নামবে! বিধানসভা তো সকলের জন্য। সেখানেও কি এবার কলঙ্কজনক কাজ করতে দুইবার ভাববেন না এই রাজ্যের শাসক দল! শুভেন্দু অধিকারী যে আশঙ্কা করলেন, তা কিন্তু মারাত্মক বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল করতে পারে না, এমন কোনো কাজ নেই। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সব কাজ করতে পারে এই রাজ্যের শাসক দল। তারা বুঝতে পারছে যে, বিজেপির কাছে তারা কাবু হচ্ছে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে। তাই স্থির থাকতে পারছেন না এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। শেষ পর্যন্ত নিজের ক্যাডারদের দিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা রাজ্য বিধানসভায় করানোর চেষ্টা করেছিলেন‌। কিন্তু তাদের সেই পাতা ফাঁদে পা দেয়নি বিজেপি। তবে বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তা প্রতিমুহূর্তে লঙ্ঘিত হচ্ছে গণতন্ত্রের পীঠস্থানে। রাজ্যের মানুষ সব প্রত্যক্ষ করছে। এই সরকার কতটা বিপদজনক হতে পারে, তা প্রতিমুহূর্তে স্পষ্ট হচ্ছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অতীতেও শাসক বিরোধী লড়াই ছিল। কিন্তু এইরকম ভয়ংকর ষড়যন্ত্র, শাসকের বিরুদ্ধে এইরকম মারাত্মক অভিযোগ কখনও ওঠেনি। শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যে কথা বলার মত লোক নন। তিনি তথ্য নিয়েই কথা বলেন। এক্ষেত্রেও হয়ত তার কাছে তেমন কোনো খবর রয়েছে। তা না হলে শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য আর যাই হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মিথ্যে কথা শুভেন্দু অধিকারী বলেন না। আসলে সব দিক থেকেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনুভব করতে শুরু করেছেন যে, শুভেন্দুবাবুকে আর আটকানো সম্ভব নয়।

তিনি মানুষের নেতা হয়ে উঠেছেন। আর তাতেই ক্ষমতা থেকে বিদায়ের আশঙ্কায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্থির করে তুলছে। ফলে সেক্ষেত্রেই হয়ত ঘুরিয়ে অন্য কোনো দিক দিয়ে বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তাই বিধানসভার মধ্যে প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে পারে। হয়ত পেছন থেকে কেউ বা কারা সেই কাজে ইন্ধন দিচ্ছে বলেই আজকে এমন কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ফলে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা তো দূরের কথা, সামান্য বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তাটুকু বিধানসভার ভেতরেই সুরক্ষিত নয়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!