এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের আদালতে রাজ্য! থাপ্পড় খাওয়ার পরেও লজ্জা নেই মমতার, সোচ্চার বিজেপি!

ফের আদালতে রাজ্য! থাপ্পড় খাওয়ার পরেও লজ্জা নেই মমতার, সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-যে করেই হোক, বিজেপিকে আটকাতেই হবে, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টার্গেট। তবে সেই টার্গেট পূরণ হচ্ছে না দেখে রীতিমত জ্বলে উঠছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশকে দিয়ে সব জায়গায় বিজেপির কর্মসূচিকে আটকে দিচ্ছেন তিনি। চেষ্টা করেছিলেন, আগামী 29 তারিখ বিজেপি ধর্মতলায় বঞ্চিতদের নিয়ে যে সভা করবে, সেই সভায় অনুমতি না দেওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিচার ব্যবস্থা বিজেপিকে অনুমতি দিয়েছিল সভা করার। আর এতে আরও বেশি করে জ্বলে উঠেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে আবার এই রাজ্য এবং তাদের প্রশাসন আদালতের দ্বারস্থ হলো। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবার তারা ডিভিশন বেঞ্চে চলে গেল। অর্থাৎ এক কথায় বিজেপিকে আগামী 29 তারিখ সভা করতে না দেওয়ার ব্যাপারে যেন মরণপণ চেষ্টা শুরু করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, এদিন বিজেপিকে সভা করার ব্যাপারে যে সিঙ্গল বেঞ্চ অনুমতি দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে পাল্টা রাজ্যের পক্ষ থেকে ডিভিশন বেঞ্চের যাওয়া হয়। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, একাধিক বিষয় রয়েছে। তাই তারা সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে এসেছে। বিজেপিকে কোনোমতেই সেই জায়গায় সভা করতে দেওয়া যাবে না। এইরকম একটা মনোভাব আদালতের কাছে তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য। তবে গণতন্ত্রপ্রেমী যারা সাধারণ মানুষ, যারা এই রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, লড়াই করছেন, তারা বলছেন যে, কোনোভাবেই বিচার ব্যবস্থা একটি রাজনৈতিক দলকে সভা না করার ব্যাপারে বলতে পারে না। তৃণমূল এবং রাজ্যের প্রশাসন আবার ডিভিশন বেঞ্চেও সমান ভাবে ধাক্কা খাবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, একবার তো সিঙ্গেল বেঞ্চে থাপ্পড় খেয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। সেখানে তো প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, বিজেপিকে সভা করতে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসন অনুমতি না দিলেও, আদালত তাদের পাশে আছে। কিন্তু বিচার ব্যবস্থাকে অমান্য করা একমাত্র তৃণমূলের পক্ষেই সাজে। তাই তারা এবার ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে। তবে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে আদালত সেখানেও তাদের ঠাসঠাস করে থাপ্পর দিয়ে বুঝিয়ে দেবে, এই রাজ্যে পুলিশি রাজ শেষ কথা বলে না। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপি বঞ্চিতদের নিয়ে রাস্তায় নেমে সভা করবে। আর এতেই উচিত শিক্ষা পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সামান্য রাজ্যে একটি সভা করবে বিরোধী দল, তাতে অনুমতি না দেওয়ার কি আছে? কেন প্রশাসনকে এইভাবে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কি ক্ষতি হত, যদি বিরোধীদেরকে পুলিশি অনুমতি দেওয়া হত, তাহলে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীরাও এই কথা বলতে পারতেন না যে, এই রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। কিন্তু তারা যে এই সরকারের পুলিশের অনুমতি না পেয়েই বারবার আদালতে যাচ্ছে এবং সেই সভাকে আটকাতে সব চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে তো আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্য সরকার চূড়ান্ত ফ্যাসিস্ট। এবার ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও যদি হোঁচট খায় রাজ্য, তাহলে মুখ দেখানোর মতো জায়গা থাকবে তো রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর? দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!