এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মমতা পুলিশের চরম নৃশংসতা! নির্লজ্জ প্রশাসন নিয়ে সোচ্চার বিজেপি!

মমতা পুলিশের চরম নৃশংসতা! নির্লজ্জ প্রশাসন নিয়ে সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-আর কত নিচে নামবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ? আর কত নিচে নামবে এই রাজ্যের প্রশাসন? এমনিতেই তো তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে করতে এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গিয়েছে‌। বিরোধীদের অভিযোগ এমনটাই। তারা এটাও বলেন যে, আজকে চোর ধরা অপেক্ষা, দোষীদের সাজা দেওয়া অপেক্ষা টেবিলের তলায় ভয়ে সেই চোরদের দাপটে লুকোতে বাধ্য হয় এই রাজ্যের পুলিশ। কিন্তু পুলিশি ব্যবস্থাকে যে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে এই রাজ্যের সরকার, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে আমহার্ট স্ট্রিট থানায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর পরেই সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করল রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের দাবি, তদন্তের নাম করে, জেরার নাম করে এক ব্যক্তিকে থানার মধ্যেই পিটিয়ে মারা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এদিন মোবাইলের চোরা চালানোর একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে কৈলাস সাউ নামে এক ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেইমতো তিনি আমহার্ট স্ট্রিট থানায় যান। কিন্তু এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার পরিবারের কাছে খবর আসে যে, তিনি মারা গিয়েছেন। আর এর পর এই হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায় এলাকা জুড়ে। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে যে, সেই ব্যক্তি মারা যাননি। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি সাথে সাথেই ময়দানে নেমে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রশ্ন উঠছে যে, মানুষটি ভালো মত থানায় গেল, তিনি রাতারাতি মৃত্যুবরণ করলেন কি করে? স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমত সকলের প্রশ্নের মুখে পড়ে নাস্তানাবুদ হতে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে।

বিজেপির দাবি, গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনতে হবে স্থানীয় থানাকে। তাহলেই তাদের সম্পর্কে যে প্রশ্ন উঠছে, তা সত্যি নাকি মিথ্যা, তা প্রমাণ হয়ে যাবে। তারা যদি গোটা ঘটনায় জড়িত নাই থাকবে, তারা যদি এই ব্যক্তিকে পিটিয়ে নাই মারবে, তাহলে তাদের তো ভয় থাকার কথা নয়। তাই গোটা ঘটনার সত্যতা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনা উচিত পুলিশ কর্তৃপক্ষের। তা না হলে প্রমাণ হয়ে যাবে যে, এই রাজ্যের পুলিশ তদন্তের নামে সাধারণ মানুষকে পিটিয়ে খুন করছে। বিরোধীদের কথা বলার জায়গা তো এই রাজ্যে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এবার পুলিশও নিজেদের নির্মমতা এবং নৃশংসতার পরিচয় দিচ্ছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, চোরাচালান কারবার হোক বা যে কোনো অবৈধ কাজ, প্রত্যেকটি ঘটনায় পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ নেবে, দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে, এটাই তো কাম্য। কিন্তু এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের স্বভাব চরিত্র ক্ষমতায় এসে বদলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই অভিযোগ। তার সরকার চেষ্টা করে, পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করে কি করে সৎ ব্যক্তিদের দমন করবে! তাই পুলিশের অভ্যাস এখন পাল্টে গিয়েছে। তারা চোর ধরা অপেক্ষা দোষীদের শাস্তি দেওয়া অপেক্ষা প্রতিবাদী, সৎ চরিত্রের মানুষদের কন্ঠরোধ করতেই ব্যস্ত। তবে চোরা চালানের অভিযোগ এই ঘটনায় উঠলে তাকে তো তদন্ত করে তাকে শাস্তি দেওয়া যেতেই পারত। কিন্তু তা না করে পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে খুন করার যে অভিযোগ উঠছে, তা তো ভয়ংকর। তাই অবিলম্বে নিজেদের দিকে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করতে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনতেই হবে পুলিশকে। তা না হলে প্রমাণ হয়ে যাবে যে, এই রাজ্যের পুলিশ কতটা নৃশংস। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!