এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাড়িতেই আহত মমতা, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের গাফিলতি? বড় দাবি সুকান্তর!

বাড়িতেই আহত মমতা, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের গাফিলতি? বড় দাবি সুকান্তর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই খবর আসে যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। তারপর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে। আর তিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন। কিন্তু কিভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা এত পুলিশ থাকা সত্ত্বেও তিনি বাড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হলেন? কেন বাড়িতেই তার রক্ত মুছে দেওয়ার মত পরিস্থিতি ছিল না? কেন সেই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হলো? এই নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে বিরোধীদের তরফে।

অনেকে আবার সন্দেহ প্রকাশ করে এটাও বলছেন যে, মেডিকেল বুলেটিনে তো প্রথমবার বলা হলো যে, ধাক্কা মারা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে, তারপর আবার সেই কথা পাল্টে নিয়ে কেন বলা হলো যে, মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছে যে, কেউ তাকে ধাক্কা মেরেছে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে? ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। আর তার মাঝেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বড় ইঙ্গিত দিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষার দাবি তোলার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে কিছুটা হলেও প্রশ্ন তুলে দিলেন। কারণ দিনের শেষে যতই বিরোধিতা থাক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো সুকান্ত মজুমদারেরও মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা যে পুলিশ মন্ত্রীর কাছে প্রধান, সেই পুলিশ মন্ত্রী যদি নিজেই নিরাপদ না থাকেন, তাহলে এই রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা নিয়েই তো প্রশ্ন উঠবে।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সকলেই চাইছেন যে, দ্রুত মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠুন। কিন্তু তার বাড়ির ভেতরেই এভাবে আহত হওয়ার ঘটনা অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি করে দিচ্ছে। প্রশ্ন তৈরি করে দিচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে। আর সেই বিষয় নিয়েই সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আরও সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। তার সুরক্ষায় কোনোমতেই গাফিলতি হওয়া উচিত নয়। তিনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী। এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নজর রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজনে যদি সিএম হাউস বানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে হয়, তাহলে সেটাও করা প্রয়োজন। কিন্তু কোনোমতেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার সঙ্গে গাফিলতি বরদাস্ত করা উচিত নয়।”

একাংশ বলছেন, সঠিক কথাটাই তো বলেছেন সুকান্ত মজুমদার। এক্ষেত্রে রাজনীতি পরে হবে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সুকান্তবাবু বা শুভেন্দুবাবুদের রাজনৈতিক শত্রুতা রয়েছে, কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা তো নেই। যেখানে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এত বড় সিকিউরিটি পান, সেখানে বাড়ির ভেতরে তিনি কি করে আঘাত প্রাপ্ত হলেন এবং তারপর তার রক্ত মুছে দেওয়ার মত কেউ ছিল না কেন? এই প্রশ্নগুলো কিন্তু উঠছে। তাই সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে কিছুটা হলেও কথা শুনিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

পর্যবেক্ষকদের মতে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাসভবনেই যদি নিরাপদ না থাকেন তাহলে রাজ্যের মানুষ নিরাপদ থাকবে কি করে শোনা যাচ্ছে তাকে নাকি ধাক্কা মারা হয়েছে তিনি নাকি সেটা অনুভব করেছেন তাহলে এর পেছনে তো একটা সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত? সেই সময় তার বাড়িতে যারা ছিল, তাদেরকে তো তদন্তের অধীনে নিয়ে আসা উচিত। জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী যারা ছিলেন, তারা কি হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন? এই প্রশ্নগুলো ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে। তবে বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্ত মজুমদারও চান, দ্রুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্থ হয়ে উঠুন। এক্ষেত্রে এখন কোনো রাজনৈতিক কচকচানি নয়। বরঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী আহত হয়েছেন, তার পেছনে কি ফল্ট রয়েছে, কেন এত বড় ঘটনা ঘটলো, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। কারণ দিনের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চেয়ারে বসে আছেন, তার সুস্থতা সকলের আগে দেখা প্রয়োজন প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!