এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মিশন বিধানসভা সম্পূর্ণ হতেই এবার পঞ্চায়েত স্তর থেকে বিজেপিকে ধুয়েমুছে সাফ করতে আসরে তৃণমূল

মিশন বিধানসভা সম্পূর্ণ হতেই এবার পঞ্চায়েত স্তর থেকে বিজেপিকে ধুয়েমুছে সাফ করতে আসরে তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে উত্তরবঙ্গে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মালদহ যেন তাকে এবার খালি হাতে ফিরিয়ে না দেয়। 2011 সালে এই মালদহ জেলা থেকে তৃণমূল বিপুল আসন পেলেও 2016 সালে এখানে তাদের ভরাডুবি হয়। তবে বিজেপির উত্থানে লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়তে শুরু করে। এমনকি মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের সভাধিপতি সহ একাধিক সদস্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগ দেয় ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

যার পরে মালদহ জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে থাকলেও সেখানে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় শাসক দল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ঘুরতে শুরু করেছে। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 77 টি আসন দখল করে বিরোধী দলের জায়গা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তবে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস মালদহ জেলাতেও ভালো ফলাফল করার পর এবার তারা একদম নিচুতলায় অর্থাৎ পঞ্চায়েতে যাতে বিজেপিকে একেবারে ধুয়েমুছে সাফ করে দেওয়া যায়, তার জন্য এবার কৌশল গ্রহণ করতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।

জানা গেছে, সোমবার মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের দলনেতা শামসুল হক। একটি বৈঠক ডাকেন যেখানে 37 আসন বিশিষ্ট এই মালদহ জেলা পরিষদে মাঝে যেভাবে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, সেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ জেলা পরিষদে তৃণমূল 29, বিজেপি 6 এবং কংগ্রেস দুইটি পেয়েছিল। তবে আশ্চর্যজনকভাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যখন দিকে দিকে বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করেছেন তৃণমূলের নানা নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা, তখন সেই দলবদলে গা ভাসাতে দেখা যায় মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের সভাধিপতি সহ একাধিক সদস্যদের।

বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মালদহ জেলা পরিষদ তাদের দখলে চলে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতির আবার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে‌। বিধানসভায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবার তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত থেকে বা জেলা পরিষদ থেকে যাতে বিজেপিকে একেবারে ধুয়েমুছে সাফ করে দেওয়া যায়, তার জন্য উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। অর্থাৎ কোনোভাবেই মালদহ জেলাতে বিজেপিকে দাগ কাটতে দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। আর সেই কারণেই এখন থেকে বিজেপিতে যাওয়া সদস্যদের আবার নিজেদের দিকে ফিরিয়ে আনতে রীতিমত আলোচনা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে ধুলিস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, তাতে বিজেপি কিভাবে তার মোকাবিলা করবে এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল বলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তবে বামন গোলা ছাড়াও কোথাও আমাদের ভোট হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা নেই অর্থাৎ বিজেপি একপ্রকার নিশ্চিত যে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন তাদের দলের সদস্যদের আর ভাঙানো যাবে না কিন্তু মুখে ভারতীয় জনতা পার্টি যে কথাই বলুন না কেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে না পারার পর বিজেপির নেতা কর্মীরা অনেকটাই হতাশ এবং নিচুতলার নেতাকর্মীরা যে এখন দলবদল কেই বেছে নিতে শুরু করেছেন সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ তাই নিচুতলার নেতাকর্মীদের সেই মন বুঝে তৃণমূল পাল্টা ময়দানে নেমে মালদহ জেলা থেকে পদ্মফুল শিবিরকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে চাইছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাজনীতিতে, এটাকে রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট বলা চলে। একদিকে তৃণমূল কতটা বিরোধীদের চাপে ফেলে নীচুতলা পর্যন্ত সমস্ত পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতা দখল করতে পারে, তা যেমন লক্ষণীয় বিষয়, ঠিক তেমনই বিরোধী দল বিজেপি তৃণমূলের সেই কৌশলকে বানচাল করে নিজেদের দলের সদস্যদের নিজেদের কাছে রাখতে সক্ষম হয়, সেদিকেও লক্ষ্য থাকবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!