এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যপালের এক তীরেই তরী ডুবল এই মহারথীর ? জিতে এসেও জুটল না মমতার ভরসার নৈবেদ্য?

রাজ্যপালের এক তীরেই তরী ডুবল এই মহারথীর ? জিতে এসেও জুটল না মমতার ভরসার নৈবেদ্য?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেও ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত অনুগত মদন মিত্রের। তার অনুগামী থেকে শুরু করে দলের অনেক নেতা কর্মীরা আশা করেছিলেন আবারও রাজ্যের মন্ত্রী হবেন মদনবাবু। কিন্তু কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে বহু লড়াইয়ের পর তিনি জয়লাভ করলেও, শেষ পর্যন্ত বেশ কিছু কারণে তিনি মন্ত্রীপদে শপথ নিতে পারেননি। তালিকায় একাধিক হেভিওয়েট ব্যক্তিদের নাম থাকলেও নাম ছিল না মদন মিত্রের। তবে এর পেছনে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারের ভূমিকা সবথেকে বেশি দায়ী বলে মনে করছেন একাংশ।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। সংবিধানের 163 এবং 164 নম্বর ধারা অনুযায়ী এই মামলার অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলে খবর। অর্থাৎ রাজ্যপাল এই অনুমোদন দিয়ে দেওয়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখন নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী রাজ্যের এই সমস্ত শাসক দলের নেতাদের ডেকে তাদের জেরা করতে পারবেন।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার জেরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় যেমন অস্বস্তিতে পড়েছেন, ঠিক তেমনই মদন মিত্রের সৌভাগ্য খোলার রাস্তা রাজ্যপালের এই সক্রিয়তায় কার্যত বাধা হয়ে দাড়াল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বিতর্কের মধ্যে যেতে চাইছেন না। সেই কারণে মন্ত্রিসভা অত্যন্ত সচেতন ভাবে গঠন করেছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মদন মিত্র যে রাজ্যের মন্ত্রী হচ্ছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন একাংশ। কিন্তু মন্ত্রিসভা গঠনের আগে ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সেই তালিকায় রাখা হলেও, মদন মিত্রের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের তালিকা গঠন হওয়ার সাথে সাথেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ মদন মিত্রকে মন্ত্রী করে বিতর্ক আর বাড়াতে চাননি তিনি। আর সেই কারণেই রাজ্যপালের তালিকা দেখে শেষ পর্যন্ত আর মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি কামারহাটি তৃণমূল বিধায়কের বলেই মনে করা হচ্ছে।

বলা বাহুল্য, তৃণমূল সরকার প্রথম রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন এই মদন মিত্র। তারপর বহু জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সারদা কেলেঙ্কারির জন্য দীর্ঘদিন শ্রীঘরে থাকতে হয়েছিল মদনবাবুকে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, শেষ পর্যন্ত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে শ্রীঘরে থেকেই লড়াই করেছিলেন তিনি কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে পরাজিত হতে হয়েছিল তাকে। তবে তারপর জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পরেও নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে সরে আসেননি হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। আর 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। স্বাভাবিক ভাবেই কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করে মদন মিত্র যে রাজ্যের মন্ত্রী হতে চলেছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল একাংশ। তবে রাজ্যপালের তীরের জন্যেই যে মন্ত্রীপদ না পাওয়ার দিক থেকে বিদ্ধ হলেন মদন মিত্র, সেই ব্যাপারটি পরিষ্কার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!