রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সরকারের পছন্দের পত্রিকাগুলো গ্রন্থাগারগুলোতে রাখার সিদ্ধান্ত নিলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার আর কোনো পত্রিকা নয়, এবার থেকে জেলার সমস্ত সরকারি গ্রন্থাগারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই রাখতেই হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়ার পাবলিক লাইব্রেরি উন্নয়ন মঞ্চ। জানা গেছে, আগামী ৩০ আগস্ট গ্রন্থাগার দিবসের দিনে এই হাওড়া পাবলিক লাইব্রেরী উন্নয়ন মঞ্চ জেলার বিভিন্ন সরকারি গ্রন্থাগারে মোট ৪০ হাজার টাকার বই তুলে দেবে।

আর সেখানেই যাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইও রাখা যায় সেই কারনে ইতিমধ্যেই রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তরকে একটি বিশেষ আর্থিক অনুদান দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে সেই মুখ্যমন্ত্রীর বই কেনার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই হাওড়া জেলায় ১৩৬ টি সরকারি গ্রন্থাগার এবং ১০০-র বেশি বেসরকারি গ্রন্থাগার রয়েছে। এতদিন সেখানে সব বই থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই পাঠকরা চাইলেও সেভাবে মিলত না।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর তাই এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বইয়ের ঘাটতি মেটাতে জেলার প্রতিটি গ্রন্থাগারেই মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি সেই বই কিনতে গ্রন্থাগারগুলিকে আর্থিক বরাদ্দও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা সব বই কিনে রাখা হবে। তবে সরকারি গ্রন্থাগারে রাখলেও বেসরকারি গ্রন্থাগার এই মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই কিনবে কিনা সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো নির্দেশ দেয়নি জেলা গ্রন্থাগার দপ্তর।

তবে গ্রন্থাগার দপ্তর কোনো নির্দেশ না দিলেও হাওড়ার লাইব্রেরি উন্নয়ন মঞ্চের পক্ষ থেকে বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই কিনতে অনুরোধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই আবেদনে সাড়া দিয়ে কয়েকটি বেসরকারি লাইব্রেরি মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই কিনতেও শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে জেলার সমস্ত সরকারি গ্রন্থাগারে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা এই বই রাখা প্রসঙ্গে হাওড়ার পাবলিক লাইব্রেরি উন্নয়ন মঞ্চের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “এই জেলায় বহু পাঠক আছেন, যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই পড়তে চান। কিন্তু, লাইব্রেরিতে সব বই না থাকার কারণে তাঁরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন আর তাই সেই কারণেই এবার বিশ্ব গ্রন্থাগার দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই লাইব্রেরিতে রাখার উপর জোর দিচ্ছি। পাশাপাশি বিভিন্ন দোকানেও যাতে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই পাওয়া যায়, সেদিকেও নজর রাখা হবে”।