খোদ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র অভ্যর্থনায় গরহাজির প্রভাবশালী নেতা! তীব্র জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঝারগ্রাম বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ছিলেন অনুরণ সেনাপতি। দল সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের প্রচারে তিনি নিজের তরফ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। কিন্তু জেলা নেতৃত্বের কাছে বারবার আবেদন করেও এই অর্থ তিনি পাননি। এই ঘটনা নিয়েই ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তার অনুগামীদের একের পর এক তোপ ধ্বনি। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের গত ২০ সে জুলাই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যুব মোর্চার ঝাড়গাম জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করা হয়। এরপর ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন ব্লকে মিছিল ও জনসংযোগ কেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই সাঁকরাইল ব্লকে বিজেপির বেশ কিছু সদস্য বিজেপি ত্যাগের ঘোষণা করে। কিছু বিজেপি সদস্য যোগদান করে তৃণমূল। তাঁকে তৃণমূল ভুক্ত করার চেষ্টাও চালানো হয়। এরপর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখেই অনুরণ সেনাপতিকে দলে ফেরাতে উদ্যোগী হয় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব । গত ৩০ সে আগস্ট তাঁকে বিজেপির কলকাতা সদর কার্যালয়ে ডেকে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন বিজেপি ও বিজেপির যুব মোর্চার বেশ কিছু নেতা। এরপর সেদিনেই তাঁকে যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক পদে ঘোষণা করা হয় উন্নত করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি, গত রবিবার ঝাড়গ্রামে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সেইসঙ্গে রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় একটি বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি চন্দনেশ্বর সেনগুপ্ত, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রিমঝিম সিংহ, শিক্ষক সেলের নেতা অশোক মোহান্তির মতো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক অনুরণ সেনাপতি। ফলে বিষয়টি নিয়ে বিজেপি দলের মধ্যে শোরগোল পরে গেছে। অনেকে মনে করছেন, যুব মোর্চার পদ প্রাপ্তি হলেও ঝাড়গ্রাম জেলা নেতৃত্বর উপরে তিনি এখনও বেশ ক্ষুব্ধ আছেন। এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি সভাপতি সুখময় শতপথী অবশ্য জানিয়েছেন, ” রাজ্য পর্যবেক্ষকের বৈঠকে কেবলমাত্র দলের পদাধিকারীরা ছিলেন। শাখা সংগঠনের কার্যকর্তাদের বৈঠকে ডাকা হয়নি।’’ অন্যদিকে এপর এক স্থানীয় বিজেপি নেতার বক্তব্য, তাঁর এক আত্মীয় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। তবে এই আত্মীয় কিন্তু তাঁর নিকটে থাকেন না, থাকেন অন্যগ্রামে। এছাড়া গত রবিবারে অনুরণ সেনাপতিকে অরণ্যসহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজিত রক্তদান শিবিরে কর্মকর্তা রূপেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বৈঠকে অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে অনুরণ সেনাপতি নিজেই জানিয়েছেন,‘‘ দলের তরফে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তাই অনাহূত হয়ে যাইনি।’’ আপনার মতামত জানান -