এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মেয়ের সামনে ধর্ষিতা পলাতক নেতার স্ত্রী! উত্তপ্ত বাসন্তী

চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মেয়ের সামনে ধর্ষিতা পলাতক নেতার স্ত্রী! উত্তপ্ত বাসন্তী

রাজনীতিতে নৃশংসতার শেষ দেখতে পাচ্ছেন না কেউই। কখনও শাসক-বিরোধী গন্ডগোল, আবার কখনও বা একই দলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোল, আর এই গন্ডগোলে এখন বঙ্গ রাজনীতিতে বারবার নৃশংস ঘটনাই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, রবিবার ভোরে বাসন্তীর চড়াবিদ্যা হালদার পাড়া এলাকায় তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সক্রিয় নেতা হাফিজুল শেখকে না পেয়ে আক্রোশ মেটাতে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করল তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠী।

আর এই গোটা ঘটনাটি ঘটল সেই হাফিজুল শেখের 5 বছরের শিশুকন্যার চোখের সামনে। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটালো তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠী? জানা গেছে, এই চড়াবিদ্যা এলাকায় তৃণমূলের মূল সংগঠনের সঙ্গে সিপিএম থেকে আগত তৃণমূলের যুব সংগঠনের অনুগতদের দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা দখল নিয়ে একটা বড় লড়াই চলছে।

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে সেই গন্ডগোল আরও বড় আকার নিয়েছে। প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে যুব সংগঠনের অন্যান্যরা সরে গেলেও তাদের আক্রোশ মাদার সংগঠনের নেতার প্রতি থেকেই যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরই গত 18 ই আগস্ট পূর্ব গাজীপুরে মুর্তাজা গাজীর বাড়ির সামনে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় যুব সংগঠনের অনুগামীরা গালিগালাজ করে এবং তার স্ত্রী ও ছেলেকে বাইরে বের করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এবার তৃণমূল নেতা হাফিজুল শেখকে আক্রমণের উদ্দেশ্য নিয়ে যুব অনুগতরা তার বাড়িতে গেলে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তার গলা টিপে মেরে ফেলে।

জানা গেছে, হাফিজুল শেখের স্ত্রী নেচারুন বিবির কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে মুখে কাপড় গুঁজে তাকে ধর্ষণ করা হয়। তারপর তার গলা টিপে মারা হয়। আর এই সমস্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সেই হাফিজুল শেখের 15 বছরের শিশুকন্যা পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনার কথা জানান। আর এই ঘটনাতেই এবার শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। এদিন এই প্রসঙ্গে চড়াবিদ্যা তৃণমূলের অঞ্চলের কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ মণ্ডল বলেন, “সিপিএম থেকে আগত যুব শিবিরের তকমা আটা অনুগামীরাই এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের অমানবিক ঘটনায় যারাই যুক্ত থাকুন না কেন, তারা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না। দোষীদের দ্রুত ধরে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।”

তবে তৃণমূল নেতৃত্ব দোষীদের শাস্তির ব্যাপারে যতই গর্জন তর্জন করুক না কেন, যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতার স্ত্রীর উপরে এই ধরনের আঘাত আসল, তাতে নিজের প্রাণ খুইয়ে ভবিষ্যতে আর তৃণমূল করার মত সাহস সেই পরিবারের ব্যক্তিরা দেখাবে কিনা! তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!