এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > নৃশংসভাবে খুন পুরো পরিবার সহ শিক্ষক! এখনও আধাঁরে হাতরাচ্ছে পুলিশ!

নৃশংসভাবে খুন পুরো পরিবার সহ শিক্ষক! এখনও আধাঁরে হাতরাচ্ছে পুলিশ!


একই দিনে একই পরিবারের তিনজনের খুনের ঘটনা নিয়ে প্রবল রহস্য দানা বাধতে শুরু করেছে। বস্তুত, গত মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের সদরঘাট লাগোয়া লেবুবাগানে বেলা বারোটা নাগাদ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি এবং তাঁর পুত্র অঙ্গনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। যে ঘটনাকে নৃশংস বলে আখ্যা দিয়ে শোকের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

কিন্তু এই বড় মাপের খুনের ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে পুলিশ কোনো কিনারা করতে পারছে না। জানা গেছে, পুলিশের তরফে একাংশ দাবি করছেন, বাড়ির মধ্যে ঢুকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে এই তিন জনকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কি কারণে খুন, তা অবশ্য জানা যায়নি। পুলিশের তরফে আরও জানা গেছে যে, এই খুনের ঘটনার পরই সেখানে আসেন রাজীব দাস নামে এক দুধওয়ালা।

দরজা খুলতেই তিনি দেখেন, ডান পাশের ঘরে খাটের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই স্কুলশিক্ষক রয়েছেন। এদিকে এই ঘটনার পর রাজীব দাস চিৎকার করে উঠলে বাড়ির মধ্যে থাকা এক আততায়ী সেই চিৎকার শুনে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এদিকে শিক্ষকের মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল, সেই ঘরের মেঝেতে তার বছর ছয়েকের শিশুর দেহ এবং পাশের ঘরে খাটে তার স্ত্রীর নিথর দেহ পড়ে ছিল বলে দাবি রাজীব দাসের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই খুন নিয়ে পারিবারিক বিরোধকে দায়ী করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। জানা গেছে, এই ব্যাপারে সেই নিহত শিক্ষকের মাসির ছেলে বন্ধুকৃষ্ণ ঘোষ ইতিমধ্যেই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দাদাকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে তীব্র আক্রোশ ছিল। কিন্তু কার এমন আক্রোশ, তা বুঝতে পারছি না।”

এদিকে এই ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার বলেন, “সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তাই তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলব না।” কিন্তু দিনে-দুপুরে এত বড় খুনের ঘটনা ঘটে গেলেও কেন পুলিশ এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোন কিনারা করতে পারল না! তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এখন দেখার, পরিবারের তিন সদস্যের খুনের ঘটনায় পুলিশ ঠিক কবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং এই খুনের কিনারা করতে সক্ষম হয়!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!