এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুলের নারদ যন্ত্রণা কি বাড়তে চলেছে! ম্যাথু-মির্জাকে নিয়ে সিবিআইয়ের নতুন পরিকল্পনায় জল্পনা

মুকুলের নারদ যন্ত্রণা কি বাড়তে চলেছে! ম্যাথু-মির্জাকে নিয়ে সিবিআইয়ের নতুন পরিকল্পনায় জল্পনা


ইতিমধ্যেই রাজ্যের নারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তে মুখর রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সরকারের একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারি পদাধিকারী কেউ বাদ পড়ছে না তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের হাত থেকে। আর এই নারদা কেলেঙ্কারিতে বর্তমানে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছেন এককালের তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বর্তমানে বিজেপির চাণক্য নামে খ্যাত মুকুল রায় বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

বস্তুত, নারদা স্টিং অপারেশনের প্রধান হোতা ম্যাথু স্যামুয়েল সহ- সম্প্রতি সিবিআই দ্বারা ধৃত , আইপিএস এমএইচ মির্জা এবং তার একজন আত্মীয় তাজদার আলী মির্জা ওরফে টাইগারকে সঙ্গে করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ভবানীপুরের বাড়িতে নারদা স্টিং অপারেশনের পুনর্নির্মাণ করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই বলে বিশেষ সূত্রে খবর। যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্বস্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে বিজেপির বর্তমানে খ্যাতনামা নেতা মুকুল বাবুর বলে মত বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও মুকুল রায়কে সঙ্গে নিয়ে আইপিএস মির্জার উপস্থিতিতে নারদ অপারেশনের পুনর্নির্মাণ ইতিমধ্যেই একবার করেছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

সূত্রের খবর, স্টিং অপারেশনের সময় ম্যাথু স্যামুয়েল যখন মুকুলবাবুর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন, তখন তার সঙ্গে টাইগার নামক একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। সম্পর্কে যিনি আইপিএস অফিসার মির্জার খুড়তুতো ভাই। অভিযোগ, বিগত 2014 সালে বর্ধমান পুলিশ সুপারের বাসভবনে যখন ম্যাথু মির্জার হাতে টাকা তুলে দিয়েছিল, তখনও মির্জার খুড়তুতো ভাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তার নামে কোনো রকমের অর্থনৈতিক অভিযোগ না থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো রকমের মামলা রুজু করা হয়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে আইপিএস অফিসার মির্জার খুড়তুতো ভাইকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সিবিআই বিশেষ সূত্র দ্বারা পাওয়া খবর অনুযায়ী, বর্তমানে মুকুলবাবুর সঙ্গে ম্যাথুর কথাবার্তা এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রধান সাক্ষী টাইগার। তবে এর আগে থেকেই বারবার সিবিআইয়ের যেকোনোরকম তদন্ত নিয়ে ডোন্ট কেয়ার মানসিকতা দেখিয়ে এসেছে প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুকুল রায়। বরং বারবার চলে এসেছেন, যে কোনো তদন্তের বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করবেন। আর নারদ কেলেঙ্কারির ব্যাপারে ম্যাথু স্যামুয়েলের সব অভিযোগকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন মুকুলবাবু। তিনি স্পষ্টতঃই দাবি করেছেন, স্টিং অপারেশনের কোনো ভিডিওতে তাকে টাকা নিতে দেখা যায়নি।

যদিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, ধৃত আইপিএস অফিসার মির্জা বারবার বলে এসেছেন, মুকুলবাবুর নির্দেশেই তিনি ম্যাথুর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। এছাড়াও 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে মুকুলবাবুর ভবানীপুরের ফ্ল্যাটে প্রায় 1 কোটি 60 লক্ষ টাকা পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু কে সত্যি কথা বলছে! মুকুল রায় না এসএম এইচ মির্জা! তা জানতে যথাক্রমে মুকুল-ম্যাথু- মির্জা এবং টাইগারকে একখানে বসিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাকারী সংস্থা বলে খবর।

তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই গত বুধবার ম্যাথুকে প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। যেখানে ম্যাথু জানিয়েছেন, তেহেলকা সংবাদ সংস্থার মালিক কে ডি সিংহের নির্দেশ মোতাবেক প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে নারদ স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে নেতা-মন্ত্রীদেরকে ওই টাকা দিয়েছে ম্যাথু। তার সঙ্গে ইমেইলের মাধ্যমে কেডি সিংহের যে কথাপকথন হয়েছে, তার সমস্ত নথি সিবিআইকে জমা দিয়েছেন ম্যাথু স্যামুয়েল।

কিন্তু পশ্চিমবাংলায় রাজনীতিতে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ জানিয়ে সরব হচ্ছে বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি, তখন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম নেতা মুকুলবাবু যদি এই ধরনের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তার দলের পক্ষে তা কতখানি স্বস্তির খবর, তাই নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিস্তারিত তদন্তে মুকুলবাবুর কোনো রকম সমস্যায় পড়েন নাকি নিজের কথাকে সত্য প্রমাণিত করে সব রকমের কালিমা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য! এখন সেদিকেই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!