এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নিজেকে “মা” বলে রাজীব- শুভেন্দুকে “কুসন্তান” কটাক্ষ মমতার! শোরগোল রাজ্যে!

নিজেকে “মা” বলে রাজীব- শুভেন্দুকে “কুসন্তান” কটাক্ষ মমতার! শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন বাকি। কিন্তু তার আগে থেকেই রাজ্যে দলবদলের পালা ব্যাপক ভাবে চলতে শুরু করেছে। তৃনমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট এখন ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা। আর তারা বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই তাদেরকে গদ্দার, মীরজাফর বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মায়ের সঙ্গে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাহলে তাকে ক্ষমা করা যায় না।

অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্ত্রী সহ একাধিক দায়িত্ব দিলেও, তারা বেইমানি করে এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন‌। তাই তাদের বাংলার মানুষ কোনোমতেই বিশ্বাস করবেন না। যার পাল্টা জবাব এসেছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী পক্ষ থেকেও। কিন্তু এবার নাম না করে মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার কথা শোনা গেল স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। যেখানে নাম না নিলেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে কুসন্তান বলে আক্রমণ করলেন তিনি।

সূত্রের খবর, আজ কালনার বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ ফুটবল ময়দানে একটি জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই তাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মা ছেলেদের খাইয়ে-দাইয়ে লালন পালন করবে, আর তারপর মা যখন অসুস্থ হয়ে পড়বে, কিংবা মায়ের যখন কিছু প্রয়োজন হবে খাদ্যের, তখন তুমি মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পালিয়ে যাবে! এই সন্তান কুসন্তান। এই সন্তান কখনও মায়ের সুসন্তান হতে পারে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলে অনেক কটা দিক তুলে ধরতে চাইলেন। একদিকে তিনি নিজেকে “মা” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলেন, অন্যদিকে মায়ের বিপদের সময় বলতে তৃণমূল কংগ্রেসের কঠিন সময়ে এই সমস্ত নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্বীকার করে নিলেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিজেপির চাপে তারা কাবু হয়ে পড়েছে।

তাই শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যতই মুখে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলুক তৃণমূল নেতৃত্ব, তারা দলবদল করাতে যে ঘাসফুল শিবির অত্যন্ত চাপে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাই কালনার জনসভা থেকে একদিকে এই সমস্ত নেতাদের “কুসন্তান” বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করলেও তারা দলত্যাগ করাতে যে তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট অস্বস্তিতে, তা তৃণমূল নেত্রীর কথার মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!