এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্যাটে আজ ডিএ মামলার নথি জমা ও শুনানি – কি হল জানুন বিস্তারিত

স্যাটে আজ ডিএ মামলার নথি জমা ও শুনানি – কি হল জানুন বিস্তারিত


কলকাতা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্টেট এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যালে বা স্যাটে চলছে ডিএ মামলার শুনানি – যেখানে নির্ধারিত হবে ডিএর হার বা বছরে কবর করে ডিএ দেওয়া হবে। সেই মামলায় স্যাটের গত শুনানির নির্দেশ অনুযায়ী আজ রাজ্য সরকার এবং অন্যতম মামলাকারী কনফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কোর্টের রায়, সরকারী সিদ্ধান্তের বা আদেশনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল।

প্রসঙ্গত, গত শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী সিপিআই অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ চাওয়া বা পাওয়ার অধিকার নেই বলে দাবি করেন। তার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি জানান – প্রথমত, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ পদ্ধতি, কাজের দায়িত্ব ভার এক নয় তাই সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ডিএ সিপিআই অনুযায়ী চাইতে বা পেতে পারেন না। দ্বিতীয়ত, ডিএর হার বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা (এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরার ডিএর হারের কথা বলেন তিনি, যদিও সেই যুক্তি কনফেডারেশনের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি এবং বিচারপতিরা খন্ডন করে দেন)।

অবশেষে ‘তুরুপের শেষ তাস’ হিসাবে, রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, রাজ্য সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতার জন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে পারা যাচ্ছে না। যদিও, এই নিয়ে তীব্র আক্রমণাত্মক রাস্তায় হাঁটেন আমজাদ সাহেব – এমনকি, এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের গ্রামে গ্রামে মদের দোকান খোলাকে আক্রমন করে ‘চুল্লুর’ দোকান খোলা বলে সমালোচনা করতেও ছাড়েন না। এমনকি তোলেন – ইমামভাতা বা দুর্গাপূজাতে সমস্ত ক্লাবকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার প্রসঙ্গও।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, স্যাটের বিকালৰপতিরা সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, তিনি যা বললেন তার স্বপক্ষে সরকারী প্রয়োজনীয় নথি আছে কিনা। সরকারি আইনজীবী সম্মতিসূচক উত্তর দিলে আজ তা জমা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। একইসঙ্গে, মামলাকারীদের নিজেদের স্বপক্ষে মামলার রায়ের দুটি কপি জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

আমরা এই প্রসঙ্গে কনফেডারেশনের অন্যতম শীর্ষনেতা ও এই মামলার অন্যতম উদ্যোক্তা সুবীর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের যা প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আমাদের আইনজীবী তা জমা দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারকে যা জমা দিতে বলা হয়েছিল, তা সামগ্রিকভাবে জমা পড়েছে কিনা এখনও জানা যায় নি। কেননা, আজ রাজ্য সরকারি আইনজীবীরা কিছু নথি জমা দিয়েছেন – কিন্তু, তার কপি আমরা এখনও হাতে পাই নি। তা হাতে পেলে বোঝা যাবে – রাজ্য সরকারের তরফে কি কি নথি জমা পড়ল।

সুবীরবাবু আরও জানান, এইসব নথি জমা দেওয়ার পরে আজ মহামান্য স্যাটে আবার নতুন করে ডিএর হারের (১৪৮%) তালিকা সহ অন্যান্য কাগজপত্র আগামী ২২ শে নভেম্বর জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই করে আমরাও আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবো, আমরা সংশ্লিষ্ট নথি ওই দিন স্যাটকে জমা দেব।

এরপরেই অত্যন্ত প্রত্যয়ের সঙ্গে তিনি রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে জানান, সবাইকে জানিয়ে রাখি দিনের পর দিন আমাদের উৎসাহ এবং লড়াই করার জিদ বাড়ছে। যাঁরা ভয় পেয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন ছলের আশ্রয় নিচ্ছেন – ভুল তাঁরা করবেনই। যাঁরা পরিকল্পনা করে সময় নষ্ট করছেন – একদিন আমাদের সুসময় তাঁদের নষ্ট করবে। এই বিশ্বাস ইতিহাস সত্য – শুধু, আপনাদের কাছে আমাদের আবেদন – মানবিক দিক দিয়ে এবং আর্থিক ভাবে আমাদের সঙ্গে একটু সহযোগিতা করুন তাহলে কোনো অশুভ শক্তিই আপনার, আমার এবং আমাদের জয়কে বেশি দিন আটকে রাখতে পারবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!