এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > একের পর এক বিষমদ কাণ্ডে বিরক্ত রাজ্য সরকার এবার কঠোর আইন প্রণয়নের পথে

একের পর এক বিষমদ কাণ্ডে বিরক্ত রাজ্য সরকার এবার কঠোর আইন প্রণয়নের পথে


একের পর এক বিষমদ কান্ডে বীতশ্রদ্ধ রাজ্যসরকার। কোনো কিছু করেই এই বিষমদ কান্ড রোখা যাচ্ছে না। তবে এবার আর চুপ করে বসে থাকতে রাজি নয় প্রশাসন। আবগারি আইনে সংশোধনী এনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিব্যবস্থা আরো কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যসরকার।

চোলাই মদের কারবারি এবার যাতে কোনভাবেই পার না পেয়ে যায়,সেদিকেই নজর দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের সংগ্রামপুরে বিষমদ-কান্ডের পর একবার সংশোধনী এনে (এক্সাইজ অ্যাক্টের ৪৬ এএ) এনে ১০ বছর কারাদন্ডেী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আবগারি দপ্তর। কিন্তু সেটাও এই অন্যায়কে রোখার জন্যে যথেষ্ট নয়।

তাই এবার আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে চায় রাজ্যসরকার। আপাতত জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জেলা সফর থেকে ফিরলেই নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধনী আনা হবে বলে খবর নবান্ন সূত্রের। এদিন কোলকাতা সংলগ্ন জেলা সুপারিন্টেন্ডেন্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে আবগারি কমিশনার রণধীর কুমারের।

তবে চোলাই মদের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি জোরদার করার নির্দেশ রয়েছে কর্তৃপক্ষের। একইসঙ্গে আবগারি দপ্তরের পরিকাঠামো বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে৷ আবগারি দপ্তরে জেলা ২১টি থেকে বাড়িয়ে ৩৩টি করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়ার মতো বড় জেলাগুলিকে ভেঙে দু-তিনটি করে জেলা করা হয়েছে। রেঞ্জ ৬৫টি থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০টি। ১৫৯টি সার্কেল ছিল, আগে, তা বাড়িয়ে ২৮৫টি করা হয়েছে।

বর্তমানে ১১০০ টি কনস্টেবল থেকে বাড়িয়ে আরও ১১০০ কনস্টেবল নিয়োগ করার প্রক্রিয়া চলছে। অনলাইন ক্রাইম অ্যান্ড ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করার পরও কেন চোলাই মদে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না তা নিয়ে রীতিমতে উদ্বিগ্ন দপ্তর। সকল আধিকারিকদেরই সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ ঠিকঠাক পালন না হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আবগারি দপ্তরের পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত,২০১১ সালে সংগ্রামপুরের বিষমদ কান্ডের পর ২০১৭ সালে মেমারিতে এবং এবছর শান্তিপুরে বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। রিপোর্ট বলছে,এখনো পর্যন্ত শান্তিপুরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিনের বিধানসভার সাংবাদিক বৈঠকে অমিত মিত্র দাবী করেন,বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে চোলাই মদ ঢুকছে এ রাজ্যে।

বিরোধীদের এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেও বলেন,বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। এর জবাবে আবগারি দপ্তর থেকে জানানো হয়,২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট বিহারের গোপালগঞ্জে ১৬ জন চোলাই মদ খেয়ে মারা যান। গতবছর ১৮ অক্টোবর বিহারেই ছ’জন মারা গিয়েছেন এভাবে। সে রাজ্যে সরকার মদ নিষিদ্ধ করলেও চোলাই মদে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভিন রাজ্য থেকে মদ ঢোকার তথ্য রয়েছে।

তবে শান্তিপুরের ঘটনার পর প্রতিটি জেলা,রেঞ্জ ও সার্কেলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মদের ভাটিতে ‘রেইড’ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আবগারি দপ্তরের সঙ্গেই পুলিশি সতর্কতাও দ্বিগুণ বাড়াতে বলা হয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

শুধু তাই নয়,এই বেআইনি কারবারে সঙ্গে পুলিশ কর্মী বা আবগারি দপ্তের আধিকারিকরা যুক্ত আছেন কিনা তা জানতে তৈরি করা হয়েছে অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো। এর আগে একবার অ্যাডিশনাল এক্সাইজ কমিশনারকে গ্রেপ্তার করার নজির গড়েছে এই ব্যুরো। ফলত নিজেদের দপ্তরের অফিসারদের উপরই নজরদারি ব্যবস্থা এবার কড়া করল আবগারি দপ্তর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!