এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > রাজ্যপালের অ্যাকশন চিঠির নয়া তথ্য ফাঁস! গভীর সঙ্কট রাজ্যের, ঘুম উড়লো মমতার !

রাজ্যপালের অ্যাকশন চিঠির নয়া তথ্য ফাঁস! গভীর সঙ্কট রাজ্যের, ঘুম উড়লো মমতার !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- উপাচার্য নিয়ে সংঘাতের মাঝেই মধ্যরাতে রাজ্যপালের অ্যাকশন চিঠি নিয়ে রহস্য এখনও কাটছে না। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, কেউ চিঠির ভেতরে থাকা বিষয় প্রকাশ্যে আনছেন না। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, রাজ্যপাল বিদেশ যাত্রার শুভেচ্ছা জানিয়ে নাকি এই চিঠি পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যপাল বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে এখন টেনশন দিতে চাই না। তিনি বিদেশ থেকে ফিরুন, তারপরে আলোচনা হবে। ফলে চিঠির রহস্য যে পর্যায়ে ছিল, তার থেকে ক্রমশ বৃদ্ধি হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থানে অনড় থেকে রাজ্যপালের অ্যাকশন চিঠি নিয়ে রাজ্যের উপর চাপ বাড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

 

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দুবাবুকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি আবার বলছি, যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে রাজ্য সরকার এই চিঠি প্রকাশ্যে আনুক। এমন কিছু অস্বস্তিকর বিষয় এই চিঠিতে রয়েছে, যা প্রকাশ করতে পারছে না রাজ্য সরকার। ক্ষমতা থাকলে সেই চিঠি সামনে আনা উচিত। তাহলেই বোঝাবে যাবে, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যকে রাজ্যপাল তিরস্কার করেছেন, না পুরস্কার দিয়েছেন।”

অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে যে দায়সারা ভাব দেখানোর চেষ্টা করেছেন, তা মানতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী।বিরোধীদের দাবি, শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, গোটা রাজ্যের মানুষের কৌতুহল এই চিঠি নিয়ে। উপাচার্য নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের যে সংঘাত তৈরি হয়েছিল, তার মাঝেই রাজ্যপাল বলেছিলেন, মধ্যরাতে তিনি অ্যাকশন নেবেন। সেই অ্যাকশনের অঙ্গ হিসেবে তিনি একটি চিঠি নবান্নে এবং একটি চিঠি দিল্লিতে পাঠিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তার রহস্য কেন উদঘাটিত হলো না, সেটাই সকলের প্রশ্ন। প্রত্যেকেই সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী হয়তো বা চিঠির বিষয় বলেছেন। কিন্তু কেন সেই চিঠি প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না, কাকে বিশ্বাস করবেন রাজ্যের জনসাধারণ! ফলে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু আসল বিষয়টি ধরে ফেলেছেন। তাই রাজ্যকে তিনি আবার এই বিষয় নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিদেশ যাত্রার আগে চিঠির বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটা মন্তব্য করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার হয়ত বা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার বুজরুকি ধরে ফেলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এতেই রীতিমতো সমস্যার মুখে পড়ে গেল রাজ্য প্রশাসন। আজ না হোক কাল, এই চিঠি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে আনতেই হবে এবং রাজ্যের মানুষকে সত্যটা জানাতে হবে, সেই বিষয় নিয়ে নাছোড়বান্দা শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!