এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পদ হারাতে পারেন অভিষেক? ভয়েই তড়িঘড়ি বড় সিদ্ধান্ত মমতার! শোরগোল তৃনমূলে!

পদ হারাতে পারেন অভিষেক? ভয়েই তড়িঘড়ি বড় সিদ্ধান্ত মমতার! শোরগোল তৃনমূলে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন সকলেই বলত, তৃণমূলে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। কিন্তু এখন তৃণমূলে দুটি পোস্ট। একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপরটি তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে ভাইপোকে তিনি নিজের জায়গাও দিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু কোনো কিছুর বিনিময়েই কাউকে ভাইপোর উপরে উঠতে দেবেন না। এই নিয়ে মতপার্থক্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, শুভেন্দু অধিকারীর মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতাকেও দল ছাড়তে হয়েছে। এমত পরিস্থিতিতে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কি ভয় শুরু হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে! সেই কারণেই কি ইন্ডিয়া জোটের প্রথম সমন্বয়ে বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপস্থিত হওয়ার কারণে চরম সিদ্ধান্ত নিতে হলো তৃণমূল কংগ্রেসকে!

প্রসঙ্গত, বুধবার ইডির পক্ষ থেকে  তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আবার সেদিনই ইন্ডিয়া জোটের প্রথম সমন্বয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। যে কমিটিতে রয়েছেন এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হওয়ার কারণে সেই সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন না। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপি বিরোধী জোটের এত বড় বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় না গেলেও সেখানে কোনো প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। আর এর পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয় কাজ করছে বলেই দাবি বিরোধীদের।

তাদের কটাক্ষ, যুবরাজ শুধুমাত্র পিসির ভাইপো হওয়ার কারণে আজ তৃণমূলের এত বড় দায়িত্বে রয়েছেন। সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করার মতো অনেক ভালো গ্রহণযোগ্য মুখ রয়েছে। কিন্তু তাদের সরিয়ে দিয়ে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটিতে রাখা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে তিনি সেখানে না যাওয়ায় কাউকেই সেখানে পাঠাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ যদি সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প হিসেবে তৃণমূলের কেউ উঠে আসে, তাহলে পিসি, ভাইপোর বিপদ হয়ে যাবে। কারণ তারা দলের আর কাউকে সর্বভারতীয় স্তরে মুখ হতে দেবেন না। তাই শেষ পর্যন্ত ভাইপোর আসন সুরক্ষিত রাখতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এতে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূল বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে। কারণ বিজেপি বিরোধী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই একই অভিযোগ করা হয় যে, তাদের প্রতি কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করা হচ্ছে। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় এজেন্সির পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে‌ ঠিকই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে কি আর কোনো নেতা নেই, যারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন! ফলে সেই জোটে থাকা অন্যান্য নেতৃত্বরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দিকে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিতে পারেন। আর তাহলে ভাইপোকে বাঁচাতে গিয়ে এবং তার আসনকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে হোঁচট খেতে হবে তৃণমূল নেত্রীকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!