এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > গেরুয়া শিবিরে আবার অসন্তোষ, খোদ প্রার্থীর চরম হুঁশিয়ারিতে তীব্র চাঞ্চল্য

গেরুয়া শিবিরে আবার অসন্তোষ, খোদ প্রার্থীর চরম হুঁশিয়ারিতে তীব্র চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষনা পর্ব থেকেই দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব। সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব আপাতত কিছুটা সামাল দিতে পেরেছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু আবারও বড় অস্বস্তির মুখে দল। তার কারণ এবার বিজেপি প্রার্থীকে টিকিট দেওয়ার পরেও মনোনয়ন প্রদান থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বললেন দলের স্থানীয় নেতারা। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি প্রার্থী এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন যদি তাঁকে এভাবে আটকানো হয়, তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা সামনে আসায় তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।

সূত্রের খবর, গত 17 ই মার্চ পূর্ব বর্ধমানের গলসি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় তপন বাগদির। যথারীতি প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেননি তপনবাবু। তিনি জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা গিয়েছে। ঠিক এই অবস্থায় গতকাল অর্থাৎ 26 শে মার্চ পূর্ব বর্ধমান গলসি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী তপন বাগদিকে পূর্ব বর্ধমানের বিজেপির জেলা সভাপতি ও বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ডেকে পাঠান এবং বলেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। কারণ হিসেবে অবশ্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর মামলা চলছে বলে জানানো হয়েছে।

কিন্তু প্রার্থী এই কারণ মানতে পুরোপুরি নারাজ। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, বিজেপির অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা চলছে, বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, তা সত্ত্বেও তাঁরা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাহলে তাঁর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে কেন? আর এইভাবে তাঁকে সরে যেতে বলার জেরে তপন বাগদি আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তপন বাগদি জানিয়েছেন, তাঁকে প্রার্থী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেক্ষেত্রে তাঁকে সরানোর কোন অধিকার নেই অন্যদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন, কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন এবং তিনি মনোনয়নও জমা দেবেন। একইসাথে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি রার্থী বলেছেন, সেদিন যদি তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বা শেষ পর্যন্ত তাঁকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয়, তাহলে তিনি দলীয় কার্যালয়ে আত্মহত্যা করবেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী অসন্তোষ নতুন কিছু নয়।

তবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার পর যখন প্রচার পর্ব শীর্ষে, তখন প্রার্থীকে সরে দাঁড়াতে বলা পুরোপুরি অনভিপ্রেত বলে মনে করা হচ্ছে। গেরুয়া শিবিরের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত প্রার্থী থাকলে তা ভালোভাবে নাও নিতে পারে স্থানীয় অধিবাসীরা। সে ক্ষেত্রে দলের জন্যই সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, প্রার্থী যে এত বড় অভিযোগে অভিযুক্ত সে কথা কি আগে জানতেন না রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? আপাতত এই পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য গেরুয়া শিবির কি অস্ত্র প্রয়োগ করে, এখন সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!