এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ৬ ফুট দূরত্বও আর নিরাপদ নয়? করোনা নিয়ে নতুন তথ্যে ঘুম উড়তে চলেছে আমজনতার!

৬ ফুট দূরত্বও আর নিরাপদ নয়? করোনা নিয়ে নতুন তথ্যে ঘুম উড়তে চলেছে আমজনতার!


ভারতে পা দেওয়ার পর থেকে করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য মানুষের সামনে আসছে এবং সেই অনুযায়ী সাধারণ মানুষও করোনার হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে নিজেকে তৈরি করছেন প্রতিনিয়ত। তবে একের পর এক তথ্য আসার কারণে বলাই যায়, সাধারন মানুষ এখন করোনা নিয়ে চরম আতঙ্কিত। যত তথ্য বেরোচ্ছে ততই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা নিয়ে। এবার যে নতুন তথ্যটি বিজ্ঞানীরা সামনে এনেছেন, তা শুনলে অবশ্য আতঙ্ক আরো চতুর্গুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কারণ, বিজ্ঞানীদের দাবি করোনা ভাইরাস প্রায় কুড়ি ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ছড়াতে পারে। এতদিন পর্যন্ত চিকিত্তসক ও বিজ্ঞানীদের গাইডলাইন ছিল, করোনা সংক্রমণ এড়াতে 6 ফুট দূরত্ব মেনে চলতে হবে। কিন্তু এবার নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। এরফলে উদ্বেগ আকাশছোঁয়া হয়েছে। সম্প্রতি গবেষকরা করোনা সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন যেটি, সেটি হল 6 ফুট দূরত্ব বজায় রাখলেই সেটি করোনার ক্ষেত্রে কোন উপকারই করবে না। কারণ করোনা ভাইরাসের সীমানা কুড়ি ফুট পর্যন্ত।

অর্থাৎ আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে প্রায় কুড়ি ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে এই মারণ ভাইরাস। অথচ এতদিন পর্যন্ত আইসিএমআর এর তরফ থেকে সবাইকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছিল 6 ফুট দূরত্ব মেনে চলার জন্য। ফলে চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, এক সেকেন্ডে করোনা ভাইরাস বেশ কয়েক ফুট দূরত্ব অতিক্রম করে। তাই 6 ফুট দূরত্ব যে কোন কাজের নয়, সেটা ভালই বোঝা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস ঠাণ্ডা এবং আর্দ্র আবহাওয়াতেই বেশি বেড়ে ওঠে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার হাভার্ডের এক গবেষক দাবি করেছেন, ভারতের মতো দেশে এই মুহূর্তে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে ওঠার কোনো পরিস্থিতি নেই। দেখা যাচ্ছে, ভারতে কম বয়সী যুবক-যুবতীরাও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। অতএব বোঝাই যাচ্ছে, এতদিনেও তাঁদের মধ্যে এই রোগ প্রতিরোধক শক্তি কোন মতেই তৈরি হয়নি। এই অবস্থায় সারা দেশে এখনও সংক্রামিত হয়ে রয়েছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। তাই বিজ্ঞানী ও গবেষকদের দাবি, একমাত্র ধারাবাহিকভাবে করোনা টেস্ট চালিয়ে গেলে তবেই এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচা যাবে।

মনে করা হচ্ছে, যত বেশি সংখ্যক আক্রান্তের পরীক্ষা হবে ততোই সংক্রমণ আটকানো যাবে উপযুক্ত পদ্ধতি দ্বারা। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিষেধক ছাড়া বা কোন ওষুধ ছাড়া করোনার হাত থেকে মুক্তি পাবার কোনো উপায় নেই। তাই প্রথম থেকেই বিজ্ঞানীরা দাবী জানিয়ে আসছেন যেকোনভাবে সচেতনতা বা সতর্কতা মেনে চললে তবেই কিছুটা হলেও ঠেকানো যাবে এই মারণ ভাইরাসের আঘাত। বর্তমানে গোটা বিশ্ব অপেক্ষমান শুধু একটি প্রতিষেধকের জন‍্য, যা হারিয়ে দেবে করোনার মতন ভয়ঙ্কর মারণ জীবাণুকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!