এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ইন্ডিয়া জোট ভেঙে খানখান, মোদীর মাস্টারস্ট্রোকে কাবু মমতা-রাহুলরা!

ইন্ডিয়া জোট ভেঙে খানখান, মোদীর মাস্টারস্ট্রোকে কাবু মমতা-রাহুলরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপিকে আটকাতে দেশজুড়ে বিরোধীরা তৈরি করেছে ইন্ডিয়া জোট। তবে শুরুতেই সেই জোটের দ্বিধা বিভক্ত রূপ সামনে চলে এলো। কার্যত প্রধানমন্ত্রীর মাস্টার স্ট্রোকে কাবু হয়ে গেল বিরোধীরা। জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে যেখানে রাষ্ট্রপতির ডাকা নৈশভোজ বয়কট করেছিল কংগ্রেস, সেখানেই পৌঁছে গেলেন সেই জোটে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতিশ কুমার এবং হেমন্ত সোরেনরা। ফলে এই বিষয় নিয়ে যে জোটের মধ্যেই ব্যাপক সমস্যা তৈরি হবে, তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশে আয়োজিত হলো জি-টুয়েন্টি সম্মেলন। যেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নায়করা এসেছিলেন। তবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আমন্ত্রিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপতির ডাকা নৈশভোজ ওই বয়কট করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই ইন্ডিয়া জোটে থাকা বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতি সেই নৈশভোজে লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার মধ্যে ছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতিশ কুমার এবং হেমন্ত সোরেন। ফলে কংগ্রেসের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে থাকা সব থেকে বড় দল কংগ্রেস বয়কট করলেও সেখানে অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আর সেই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলে বিরোধী জোটকে আরও চাপের মুখে ফেলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে শুভেন্দুবাবুকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে জোটের ভবিষ্যৎ যে অত্যন্ত প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট করে দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এই জোটে রাষ্ট্রপতির ডাকা নৈশভোজে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কংগ্রেস তা বয়কট করেছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতিশ কুমার, হেমন্ত সোরেনরা সেখানে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে এতেই তো সব স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।” একাংশ বলছেন, বিরোধী জোটে যে সমস্ত দল রয়েছে, তাদের অনেকের সঙ্গেই অনেকের মতের অমিল রয়েছে। ফলে এই জোটের ভবিষ্যতে এমনিতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। তবে রাষ্ট্রপতি ডাকা নৈশভোজের পর থেকে সেই ফাটল আরও তীব্র হয়েছে।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ট মহলের দাবি, ইন্ডিয়া জোট তৈরি হলেও বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল এই রাজ্যে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে। ফলে সর্বভারতীয় স্তরে তারা বন্ধুত্ব করবে, আর রাজ্যের মাটিতে তাদের কর্মীরা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণ হারাবেন, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না। তাই এই জোটের ভবিষ্যৎ যে অশ্বডিম্ব, তা অনেকদিন আগে স্পষ্ট হয়েছে। আর এবার রাষ্ট্রপতির নৈশভোজ কংগ্রেস বয়কট করলেও, যেভাবে সেখানে সামিল হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমাররা, তাতে হাত শিবির যে অনেকটাই ক্ষিপ্ত, সেই খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। ফলে বিজেপি বিরোধী সব থেকে বড় দল কংগ্রেস যদি এই সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলোর উপর ক্ষিপ্ত হতে শুরু করে, তাহলে ইন্ডিয়া জোটের ভাঙার ঘোষণা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!