এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নবান্নকে ডোন্ট কেয়ার, মমতা বিদেশ যেতেই ফের বড় পদক্ষেপ রাজ্যপালের! চাপে পড়লেন ব্রাত্য!

নবান্নকে ডোন্ট কেয়ার, মমতা বিদেশ যেতেই ফের বড় পদক্ষেপ রাজ্যপালের! চাপে পড়লেন ব্রাত্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত কোন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, তা সকলেরই জানা। দুই পক্ষই একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সেই সংঘাতের পর রাজ্যপালের অ্যাকশন চিঠি নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। আর তার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ যেতে না যেতেই বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে গতি আনার জন্য “স্পিড কর্মসূচি” নামে একটি নতুন কর্মসূচি চালু করল রাজভবন।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রা দিনেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে নিয়ে আবির একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। বুধবার রাতে রাজভবনের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে গতি আনার জন্য স্পিড কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বকেয়া কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়, তার জন্য উপাচার্যদের নিয়েও একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও উপাচার্যরা যাতে যে কোনো সমস্যায় রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, তার ব্যবস্থাও রেখেছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। আর উপাচার্য নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের মাঝেই আবার রাজভবনের এই পদক্ষেপ নতুন করে রাজ্যের অস্বস্তিকে বৃদ্ধি করলো বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকে বলছেন, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ আবার প্রমাণ করে দিল, সরকারের হুমকি, হুঁশিয়ারিকে তিনি ভয় পান না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে গতি আনতে আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে, তা আবার স্পষ্ট করে দিল রাজভবন। বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল‌। যার পরেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেছেন। পাল্টা রাজ্যপালও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই লড়াই থেকে কোনোমতেই সরে আসবেন না। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন। স্বভাবতই মুখ্যমন্ত্রী যখন বিদেশে, তখন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত যে নবান্নের কাছে বাড়তি চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ালো, তাতে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ালো। মুখে ব্রাতরবাবু যাই বলুন না কেন, রাজ্যপাল আবার প্রমাণ করে দিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তিনিই শেষ কথা বলবেন। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাতের পরে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল কি চিঠি লিখলেন, তার রহস্য ফাঁস করার মতো মুরোদ হলো না রাজ্য সরকারের। যা নিয়ে বিরোধী দলনেতা বারবার রাজ্যের ওপর চাপ বাড়িয়েই চলেছেন। স্বভাবতই যে মুখ্যমন্ত্রীর ইশারা ছাড়া চলতে পারেন না রাজ্যের কোনো মন্ত্রী, সেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত নবান্নের চৌদ্দ তলাকে একটু হলেও ঝাকুনি দিয়েছে। পাশাপাশি রাজভবনের এই সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও এই বার্তা পাঠাতে সমর্থ হয়েছে যে, তার হুমকি, অবরোধের হুঁশিয়ারিকে কেয়ার করেন না রাজ্যপাল। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!