এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম অসভ্যতা তৃনমূলের!ভাইরাল ভিডিও, লজ্জায় মুখ ঢাকছেন স্বয়ং মমতা?

চরম অসভ্যতা তৃনমূলের!ভাইরাল ভিডিও, লজ্জায় মুখ ঢাকছেন স্বয়ং মমতা?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন সব সীমাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। চারিদিকে বিরোধীদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন, অনাচারের ঘটনা তো রয়েছেই। আর তার মধ্যেই এবার নিজের দলের মহিলা কর্মীকেই শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী দাবি করছেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেরা ট্রেনের মধ্যে কার্যত পশুর মত আচরণ করেছে। কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ থেকে শুরু করে মহিলাদের অসম্মান করার মত সব চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও বা সেই ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু বাংলা। তবে নিজের ফেসবুক পেজে এই ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন নিজের ফেসবুক পেজে এক তরুণীর লাইভ ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যেখানে তিনি লেখেন, “তৃণমূলের অন্দরেই তো কোনো শৃঙ্খলা নেই। রাজ্যটাকে যেভাবে রসাতলে পাঠাচ্ছে, সেই দলের অন্দরের মহিলা কর্মীরা নিজেদেরকে অসুরক্ষিত বোধ করবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। ধিক্কার জানাই।” তবে এই ভিডিও কিন্তু আজকের নয়। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গত 28 আগস্ট কোচবিহারের দিনহাটা থেকে কর্মীরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। আর সেই সময় রিজার্ভেশন কামরায় চড়ে, মহিলাদের বসতে না দিয়ে তাদের সঙ্গে অসভ্যতা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুক লাইভ করে এক তরুনী অভিযোগ করেছেন, তিনিও তৃণমূলের এক কর্মী কিন্তু তার সঙ্গে যে অসভ্যতা করা হয়েছে, তা কার্যত দুর্ভাগ্যজনক। আর এই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।

তাদের দাবি, এ কোন রুচি তৃণমূলের? নিজের দলের মহিলা কর্মীরাই তৃণমূলের কাছে সুরক্ষিত নয়। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তিনি তো পশ্চিমবঙ্গের মা বোনেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন না! কিন্তু তার দলের একজন মহিলা কর্মী ছাত্র সংগঠনের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, অথচ মুখ্যমন্ত্রী নীরব। কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার মতো ক্ষমতা তার নেই! তাহলে কি এই করুণ দৃশ্য দেখার পরেও লজ্জা হচ্ছে না বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের? অনেকে বলছেন, ছেড়ে দিন তৃনমূল দলের কথা। বাংলার একজন মেয়ে যেখানে অত্যাচারিত, সেখানে কেন শুধুমাত্র কাঠের পুতুল হয়ে বসে থাকবেন গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো সততার প্রতীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

অনেকে আবার কটাক্ষ করে এটাও বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাত্র সংগঠনের সভায় কত ভিড় হল এবং তার বক্তব্যে কত হাততালি পড়লো, সেটাই তো তার দেখার বিষয়। ট্রেনে আসার পথে তার দলের আলালের ঘরের দুলালরা কোন মহিলাকে অসম্মান করলো, কাকে সিট থেকে তুলে দিয়ে নিজেরা দখল করে নিল? সেই দিকে তো বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের নজর থাকবে না। কারণ তিনি তার দলের কর্মীরা যত ভুলই করুক না কেন, তাদের ভুলটাকে ভুল বলে মনে করেন না। তিনি হয়তো এই ঘটনার পর এটাও বলতে পারেন যে, বাচ্চা ছেলেরা একটু দুষ্টুমি করেছে। এটাকে বড় করে দেখবার কথা নেই। এটা একটা ছোট ঘটনা। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রং, বর্ণ না দেখে একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই সমস্ত ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর যদিও বা তিনি রং, বর্ণ দেখেন, তাহলে তো তার আরও বেশি করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ যে তরুণী এই ফেসবুক লাইভ করেছেন, তিনি নিজেকেও তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছেন। ফলে তৃণমূলের ছেলেদের হাতে সেই মহিলা কর্মী যেভাবে নির্যাতিত হলেন, তাতে অন্তত নেত্রী হিসেবে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে ঘটনা ঘটে যাওয়ার বহুদিন পর যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই ফেসবুক পোস্ট করছেন, আর তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, তখন মাননীয়ার হুঁশ ফেরে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!