এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ছটপুজোতেও সর্বনাশী রাজনীতি মমতার, লজ্জা থাকা উচিত, কটাক্ষ বিজেপির!

ছটপুজোতেও সর্বনাশী রাজনীতি মমতার, লজ্জা থাকা উচিত, কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কি করে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে ভাগ করতে হয়, কি করে বিভাজনের রাজনীতি করতে হয়, কি করে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলতে হয়, তা খুব ভালো জানেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৃষ্টিশীল কাজ তার দ্বারা হয় না। কিন্তু কি করে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যেতে হয় কোনো একটা সিস্টেমকে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর জুড়ে মেলা ভার। বিরোধীদের দাবি তেমনটাই। কিন্তু কেন তারা এই কথা বলে, এবার ছটপুজোর মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। মানুষ কাজ চাইছে। গোটা রাজ্য জুড়ে আজকে শিল্প নেই, চাকরি নেই। সেইখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ছট পুজোর মঞ্চে এমন একটি কথা বললেন, যা শুনে তিতিবিরক্ত রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীরা। তারা সকলে একটাই কথা বলছেন যে, লজ্জা থাকলে এই ধরনের কথা অন্তত প্রশাসনিক প্রধানের মুখ থেকে বের হত না।

প্রসঙ্গত, এদিন ছট পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেখানেই তিনি দাবি করেন যে, তার সরকার ছটপুজোতে দুদিন ছুটি দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার একদিনও ছুটি দেয় না। আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, ছুটি দিয়ে দিয়েই তো পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ করে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা চলে যাওয়ার পরেও দীর্ঘদিন স্কুল, কলেজ বন্ধ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই রাজ্য। অফিস, কাছারিতে ছুটির সংস্কৃতি তৈরি করে কর্মসংস্কৃতিকে ধ্বংস করছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর কেন্দ্রীয় সরকার যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মসংস্কৃতি ফেরাচ্ছে, তখন ছট পুজোয় কেন ছুটি দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে এক অপ্রাসঙ্গিক কথা শোনা গেল। একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি তথা মুখ্যমন্ত্রী কি করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরাও।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, লজ্জা থাকলে এই ধরনের কথা অন্তত মুখ্যমন্ত্রী বলতেন না। কোথায় কর্মসংস্কৃতি নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে, কিন্তু সেখানে ছুটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী নিজের নিম্ন রুচির পরিচয় দিচ্ছেন। তার এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গ কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে। কতটা বিপদের মুখে রয়েছে কর্মসংস্কৃতির বাংলা! যেখানে শিল্প স্থাপন, বেকারদের চাকরি নিয়ে অন্য রাজ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা হবে, সেখানে একটা গৌণ বিষয়, একটা সামান্য বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের সঙ্গে ঝগড়া করতে ব্যস্ত। আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও চান, এই রাজ্যের যাতে বারোটা বাজে। তবে যে ছুটি নিয়ে তিনি এত প্রশ্ন করছেন, খুব তাড়াতাড়ি তাকেই রাজ্যের মানুষ চিরদিনের জন্য ক্ষমতা থেকে ছুটি দিয়ে দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, তিনি সর্বনাশী রাজনীতি করছেন। তিনি গঠনমূলক বক্তব্য এই ছট পুজোর অনুষ্ঠানে রাখতেই পারতেন। তিনি এটাও বলতে পারতেন যে, দেশে কতগুলো ছট পুজো হয়! আর বাংলায় কতগুলো ছট পূজো হয়! তিনি একটা সংস্কৃতি মূলক পরিবেশ এই ছট পুজোর মঞ্চ থেকে স্থাপন করতেই পারতেন। কিন্তু তা না করে কে কত ছুটি দিচ্ছে, তা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করতে শুরু করে দিলেন। আসলে কাজ করার ইচ্ছে না থাকলে যা হয়। তার কাজ করার ইচ্ছে নেই, রাজ্যে চুরি করে করে রাজ্যটাকে শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছে। ঠিক তেমনই তিনি ভাবছেন, গোটা দেশটাকেও তিনি এই নজরে দিয়ে দেখবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। তাই এই ধরনের কথা বলে ছুটির সংস্কৃতি যদি দেশের মাটিতে লাগু করতে চান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীড় তাহলে তা অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। খুব তাড়াতাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তার এই সর্বনাশী রাজনীতির বিরুদ্ধে নিজেদের জনমত জানিয়ে দেবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!