এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নাটের গুরু মমতাই! তৃনমূলের বিপদ আরও বাড়ছে, দিলীপের বক্তব্যে উত্তাল রাজ্য!

নাটের গুরু মমতাই! তৃনমূলের বিপদ আরও বাড়ছে, দিলীপের বক্তব্যে উত্তাল রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দুর্নীতির দায়ে একের পর এক রাজ্যের মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি নাকি কিছুই জানেন না! তবে যে সমস্ত মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন, তারা আবার দাবি করছেন, সবটাই জানেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই পরিস্থিতিতে একটা ঘোরালৈ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। অনেকে বলছেন, যারা জেলে গিয়েছেন, তারা মুখ খুললে তৃণমূল দলটা তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে। বিরোধীরা দাবি করছে, সময় নষ্ট করার দিন শেষ। এবার মূল মাথাকে জেরা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। কারণ এত বড় একটা সিস্টেম চলছে, এত বড় চুরি হয়েছে রাজ্যে, আর সেটাতে মুখ্যমন্ত্রী কিছু জানেন না, এটা হতেই পারে না। আর এই পরিস্থিতিতে এবার দিলীপ ঘোষ যে কথা বললেন, তাতে তৃণমূলের চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন একাংশ। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এমনিতেই তো চাপে ছিল তৃণমূল, কিন্তু সেই চাপ আরও দ্বিগুণভাবে বৃদ্ধি পেল।

প্রসঙ্গত, এদিন দিলীপ ঘোষকে এই ব্যাপারে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আসল নাটের গুরু যারা, তাদের এবার গ্রেপ্তার করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ যে সমস্ত মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে, তারা সবাই বলছেন যে, সবটাই দিদি জানেন। কেজরিওয়ালের মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা বলছেন, সবটাই মুখ্যমন্ত্রী জানেন। তাহলে যাদের কথা বলা হচ্ছে, তারা কেন ছাড় পাবেন?নাটের গুরুদের বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ নেওয়া হোক।” আর এখানেই একাংশ বলছেন, দিলীপ ঘোষ তো ঠিক কথাই বলেছেন। এটা তো রাজ্যের মানুষের দাবি যে, মূল মাথা কেন এখনও ছাড় পাচ্ছেন? কেন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! তাদের কাছে যে সেই মূল মাথাথাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই, তা তো নয়। যারা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের বক্তব্যই তো বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এই দুর্নীতির পেছনে মূল হোতা কারা! তাই আর সময় নষ্ট নয়। এবার দুর্নীতির শিকড় উৎখাত করতে সেই মাথাদের জেলে ঢোকানো প্রয়োজন বলেই দাবি বিরোধীদের।

বিজেপির দাবি, একটা ছোট বাচ্চাও জানে যে, তৃণমূলে সবকিছুই হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামত। তাই তিনি নিজের সততার মূর্তি সাজার চেষ্টা করতেই পারেন। কিন্তু রাজ্যের মানুষ তার এই ভাওতাবাজি ধরে ফেলেছে। এত চুরি, এত দুর্নীতি, আর সেই টাকার ভাগ যে তৃণমূলের ওপর তলা পর্যন্ত গিয়েছে, সেটা আজকে স্পষ্ট। তাই শুধুমাত্র মন্ত্রীরা জেলে যাবে, আর প্রধানমন্ত্রী গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াবেন, এটা রাজ্যের মানুষ মেনে নেবে না। মানুষের হাতে সময় খুব কম। তাই বিরোধীদলের দাবি এবং সাধারণ মানুষকে দাবি করে প্রাধান্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। পদক্ষেপ নিতে হবে রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে। ছোট পুটি মাছ ধরার কাজ শেষ করে এবার আসল হাওয়াই চটিকে ধরার পথে এগোতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল আমলে যা যা হয়েছে, তার সবটাই খারাপ‌। একদিকে হিংসা, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ, পুলিশ প্রশাসনকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করা, আর লাগাম হীন চুরি। এই সব কিছুতে রাজ্যের মানুষ বিরক্ত। মন্ত্রীদের যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা যে জেরায় কিছু বলছেন না, তা তো নয়। তারাও অনেক কথা বলছেন। তাই তার সূত্র ধরে এবার তো নেক্সট পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সংস্থার। যারা চুরি করেছে, তারা গ্রেফতার হয়েছে, এ কথা ঠিক। কিন্তু যারা সেই চুরিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, যাদের কাছে টাকার ভাগ গিয়েছে, সেই ওপর তলার মাথাদের গ্রেপ্তারির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। আর অবিলম্বেই হয়ত সেই নাটের গুরুদের দিন ঘনিয়ে আসতে চলেছে। বিপদ বাড়তে চলেছে শাসকদলের অন্দরে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!