এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার কি ভাষা! মোদীকে এরুপ আক্রমণ কোন রুচির পরিচয়? তুলোধোনা শুভেন্দুর!

মমতার কি ভাষা! মোদীকে এরুপ আক্রমণ কোন রুচির পরিচয়? তুলোধোনা শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিশিষ্ট মানুষেরা, বিরোধী দল হলেও একসময়কার মুখ্যমন্ত্রীদের প্রশংসা যখন করতে দেখা যায় সমস্ত নেতা-নেত্রীদের, তখন সেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত বেমানান। কেন এই কথা বিরোধীরা বলে? তার কারণটাই হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক আক্রমণ এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, তা সব সীমাকে ছাড়িয়ে যায়। যতই বিরোধী হোক না কেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী পদটাকে তো অন্তত সম্মান দেওয়া উচিত। কিন্তু বারবার সেই প্রধানমন্ত্রীকে এমন সব শব্দ দিয়ে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে, তাতে তার রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। আর এবার সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এত কিছুর পরেও কি লজ্জা হবে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের? তার কি বিবেকবোধ জাগ্রত হবে! শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ হয়ত করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রুচি আর উন্নত মানের হবে না বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন ছটপুজোতে বিজেপিকে বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য তিনি কোনো কিছুই মানেন না। কোনো মঞ্চ মানেন না। যেখানে সুযোগ পান, সেখানেই বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধোনা করতে দেখা যায়, এটা তার স্বভাব চরিত্রের মধ্যেই পড়ে। যা দেখতে দেখতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে বাংলার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও তার রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। বিরোধী দলনেতার দাবি করলেন যে, এই মুখ্যমন্ত্রী তো বার বার প্রধানমন্ত্রীকে কোমরে দড়ি পড়ানোর কথা বলেছেন, কিম্ভূত কিমাকার বলেছেন। তাই ছট পুজোর মঞ্চ হোক বা যে মঞ্চই হোক, তিনি সব জায়গাতেই এই ধরনের আক্রমণ করে থাকেন। অর্থাৎ শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে তিনি বিচলিত নন। পাশাপাশি তিনি অতীতে মুখ্যমন্ত্রীর করা একের পর এক অসম্মানজনক বক্তব্য নিয়েও শাসক দলকে সজোরে একটা ধাক্কা দিলেন। তাদের বিবেকবোধ জাগ্রত করে এই বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, যতই বিরোধী হোক না কেন, প্রধানমন্ত্রী পদকে অসম্মান করা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে শোভা পায় না।

বিজেপির দাবি, বাংলার যা সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতির পিন্ডি চটকে রেখে দিচ্ছে এই সরকার। ভুলভাল কবিতা বলা তো মুখ্যমন্ত্রীর অভ্যাসের মধ্যেই রয়েছে। তার পাশাপাশি তার ভাষা জ্ঞানও ঠিক নেই। সংবিধানকে সম্মান দেওয়া, দেশের সরকারকে সম্মান দেওয়ার মত কোনোদিন কোনো বক্তব্য তাকে রাখতে দেখা যায়নি। সব সময় রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে এই ভদ্রমহিলা কাজ করে যান। সামান্য সৌজন্যতাও তিনি পালন করেন না। তাই তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা বৃথা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী হয়ত এই কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর বিবেকবোধকে জাগ্রত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে আর যাই হোক, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশ ফিরবে না। তিনি যেমন ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করছেন, হয়ত তেমনভাবেই করে যাবেন। বরঞ্চ এই প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। কিন্তু কোথাও গিয়ে তো এই বিষয়ের শেষ হওয়া দরকার। এর ফলে যেমন মুখ্যমন্ত্রীর বদনাম হচ্ছে, তেমনই তো বদনামের ভাগীদার হচ্ছে সংস্কৃতির বাংলাও। তাই বাংলাকে রক্ষা করার জন্য শিষ্টাচার না থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে আগে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!