এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মমতার, রদবদলের পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তও কার্যকর তৃণমূলে? জল্পনা তুঙ্গে!

প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মমতার, রদবদলের পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তও কার্যকর তৃণমূলে? জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আগামী সপ্তাহেই তৃণমূলে বড় সাংগঠনিক রদবদল হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি কার্যকর করার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জেলার সভাপতি পরিবর্তন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তৃণমূলের এই সাংগঠনিক রদবদলের জল্পনার মাঝেই গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার দায়িত্ব পালন করা বিশিষ্ট ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে।

সেদিক থেকে সংগঠনকে আরও বেশি করে চাঙ্গা করতে সেই বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। যার মধ্যে অন্যতম বড় জেলাগুলোকে ভেঙে সেখানে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া। অর্থাৎ উত্তর 24 পরগনা থেকে শুরু করে মেদিনীপুর এমন অনেক জেলা রয়েছে, যেখানে একটি সভাপতি দিয়ে কাজ করা সম্ভব হবে না। তাই সেই সমস্ত জেলায় “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি কার্যকর করার পাশাপাশি দায়িত্ব আরও বেশি করে দায়িত্ব বিস্তার করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, গত শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই আগামী দিনে দলকে আরও বেশি করে চাঙ্গা করার জন্য একাধিক জেলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর 24 পরগনা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান সহ একাধিক বড় বড় জেলাগুলো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে একজন সভাপতি থাকার জন্য অনেকটাই অসুবিধে হচ্ছে বলে আলোচনায় উঠে আসে। আর সেই কারণেই সেই জেলাগুলো একাধিক ভাগে বিভক্ত করা হতে পারে। সেদিক থেকে এই জেলাগুলোকে সাংগঠনিক ভাবে বিভক্ত করে একদিকে যেমন সেখানে কাজ করতে সুবিধা করে নিতে চাইছে শাসকদল, পাশাপাশি দায়িত্ব যাতে সকলের কাছেই থাকে, সেই চেষ্টা করে সকল নেতা নেত্রীদের খুশি রাখতে চাইছে ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলা দখল করার পর এবার তৃণমূলের টার্গেট দিল্লি দখল। আর সেই লক্ষ্যেই এখন থেকে সংগঠনকে সর্বভারতীয় স্তরে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে নানা পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। আর সেই কারণেই গত বিধানসভা নির্বাচনে যে প্রশান্ত কিশোরের কথামতো সাফল্য এসেছে, সেই প্রশান্ত কিশোরের মতকে প্রাধান্য দিয়ে ভবিষ্যতে সংগঠনকে আরও বেশি করে চাঙ্গা করে তুলতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেদিক থেকে সংগঠনে বদল আনার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে জেলাগুলোকে বিভক্ত করার আলোচনাও যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে শাসকদলের অন্দরমহলে। সেদিক থেকে বড় বড় জেলাগুলোতে যারা বর্তমান সভাপতি আছেন, কিছুটা হলেও তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!