এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জমজমাট খড়গপুর! মাফিয়াগিরি শেষের হুমকি দিলীপের! বিজেপির দাম্ভিকতার জবাব দিতে চায় তৃণমূল-বাম

জমজমাট খড়গপুর! মাফিয়াগিরি শেষের হুমকি দিলীপের! বিজেপির দাম্ভিকতার জবাব দিতে চায় তৃণমূল-বাম

 

হাতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। তারপরেই অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যের হেভিওয়েট কেন্দ্র বলে পরিচিত খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রে সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের সমর্থনে খড়্গপুরে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। দলের জয় নিশ্চিত করতে এবং বিজেপির কাছ থেকে এই কেন্দ্র ছিনিয়ে নিতে ইতিমধ্যেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।

অন্যদিকে নিজেদের হাতেই যাতে নিজেদের কেন্দ্র রাখা যায়, তার জন্য দলীয় প্রার্থী প্রেমচাদ ঝার সমর্থনে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, এখানকার ভূতপূর্ব বিধায়ক তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, শুক্রবার খড়গপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে আইআইটির সামনে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই কার্যত তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেন তিনি।

এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের মত গুন্ডাদের দল খড়্গপুরে আর জিতবে না। গত নির্বাচনে বিজেপি এখানে জিতেছে। এবারও জিতবে। কারণ খড়্গপুরের মানুষ আর গুন্ডাগিরি মাফিয়ারাজ চান না। আমরা এখানে সব বন্ধ করে দিয়েছি। যে সব ছোটখাটো মাফিয়া ছিল, তাদের কেউ উপরে চলে গিয়েছে, কেউ আবার জেলে আছে। তৃণমূল জানে এখানকার মাফিয়া, গুন্ডারা বিজেপিকে আটকাতে পারবে না। তাদের আমরা পা দিয়ে পিষে শেষ করে দেব।”

আর এরপরই তৃণমূলের পর্যবেক্ষকতথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “উনি হলদিয়াকে শেষ করে এখন খড়গপুর শেষ করতে এসেছেন। মাফিয়াগিরি করতে এসেছেন। মাফিয়াদের কি করে শেষ করতে হয়, আমরা জানি। অনেক মাফিয়ার এই মাটিতে আমরা নাক ঘষে দিয়েছি। তোমাকেও ঘষে দেব। তৃণমূল প্রার্থীকে এবার ভোটে হারাব। পুরসভাতেও হারাবো। আর এমন হারাবো যে কোনোদিন তিনি ভোটে দাঁড়ানোর সাহস দেখাবেন না। আর এমন রেজাল্ট হবে যে, শুভেন্দুবাবুও আর খড়্গপুরে আসবেন না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিনের সভা থেকে যে সমস্ত কাউন্সিলর তাদের দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে, তারা সময় থাকতে থাকতে আবার বিজেপিতে ফিরে আসুন। না হলে তাদের নেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর দিলীপবাবুর এই ধরনের মন্তব্য নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাফিয়ারাজ শেষ করার বার্তা দিয়েই বিজেপির দিলীপ ঘোষ যেভাবে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন, তা কার্যত তার আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতির এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদে পাল্টা সরব হয় তৃণমূল এবং সিপিএম। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা সিপিএমের সহ-সম্পাদক বিপ্লব ভট্ট বলেন, “উনি এই দাম্ভিকতার ফল উপনির্বাচনে পেয়ে যাবেন।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে সরব হতে দেখা যায় কংগ্রেসকেও। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস ঘোষ বলেন, “দীলিপবাবুর কথার উত্তর যত না দেওয়া যায়, ততই ভালো।” এদিকে তৃণমূল প্রার্থীকে হারানোর ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেও তার পাল্টা মুখ খুলেছেন খড়গপুর পৌরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলর তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ চৌধুরী।

এদিন তিনি বলেন, “বড় বড় কথা ছাড়া উনি আর কিছু জানেন না। যেভাবে কাউন্সিলরদের দলে ফেরার কথা বললেন, তা দাম্ভিকতা ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে উনি জানেন, যারা চলে এসেছেন, তারা আর ফিরে যাবেন না।” সব মিলিয়ে দিলীপ ঘোষের দাম্ভিকতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস সরব হলেও শেষ মুহূর্তে কে এখানে শেষ হাসি হাসে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!