“ছাপ্পা ভোট দিতে না পেরে কমিশনকে, বাহিনীকে নিশানা করছেন।” – মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য April 3, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ মাথাভাঙ্গা ও তারকেশ্বরের পর সোনারপুরের জনসভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, ছাপ্পা ভোট দিতে না পেরে কমিশনকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বারবার নিশানা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দশ বছর আগে এই নির্বাচন কমিশন, এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই তাঁর ভালো লাগত। বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন। সোনারপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, তিনি জানতে পেরেছেন তৃণমূলের মধ্যে এখন গভীর আলোচনা চলছে। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর দাঁড়ানো খুব বড় ভুল হয়ে গেছে। নন্দীগ্রামে হার নিশ্চিত জেনেই, অন্য কোন আসনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কিন্তু দুটি আসনেই যদি তিনি হেরে যান। তবে তৃণমূলের পথ চলায় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক বুদ্ধি শোনেন না, ভুল বুদ্ধি শুনে থাকেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল উপদেশ দেওয়া হয়েছে। যারা দিদি ও দিদির স্কুটিকে নন্দীগ্রামে পাঠিয়েছেন, তাঁরাই দিদির টিকিট কেটে দিয়েছেন বাংলা থেকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এবার জানানো হচ্ছে যে, এবার বারানসি থেকে লোকসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করবেন। প্রধানমন্ত্রী জানান এতে দুটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলায় তিনি পরাজিত হবেন। এ কারণেই বাইরে যাবার কথা বলছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, তিনি এবার বাংলার বাইরে নিজের জন্য জায়গার খোঁজ করছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানালেন যে, তাঁর কানে একটা কথা তিনি বলতে চান যে, বারানসীর লোক, উত্তরপ্রদেশের লোক হলেন দিলওয়ালে। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা কখনোই বহিরাগত বলবেন না। আবার টুরিস্টও বলবেন না। কারণ বাংলার মানুষের মতোই বড় মন তাদেরও। তবে, ওখানে তিলক ও টিকি ওয়ালা লোক অনেক পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, এখানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনলেই বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। বারাণসীতে হর হর মহাদেব ধ্বনি শুনতে পাবেন। তখন তাঁর কি হবে? কার প্রতি রাগ করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন, উত্তর প্রদেশ, বেনারসের লোকের উপর রাগ না দেখাতে। তাঁরা অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রীকেও তাঁরা স্নেহ দেবেন। দিল্লি যেতে দেবেন না, ওখানেই রেখে দেবেন তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, বিজেপির এত কর্মীকে হত্যা করার পরও এত কেন রাগ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? সিন্ডিকেট, তোলাবাজির রাজ্ চালানোর পরও কেন এত রাগ মুখ্যমন্ত্রীর? কয়লা, বালি কেলেঙ্কারির পরেও এত কেন রাগ মুখ্যমন্ত্রীর? তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে যতই কুল বলুন না কেন? তাঁর কাজই সবকিছু স্পষ্ট করে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের জন্ম ওড়িশায়, বাংলায় তাঁর শিক্ষালাভ। নেতাজির পরাক্রম দেশের সর্বত্র পালিত হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় নেতাজির দেখানো পথে না হেঁটে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বহিরাগত বলছেন। তাঁদেরকে বহিরাগত বলা হচ্ছে, যা নেতাজির অপমান। আপনার মতামত জানান -