এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গোর্খাল্যান্ডের স্থায়ী সমাধান চেয়ে সরব বিজেপি সাংসদ, বাংলা ভাগের চক্রান্ত দাবি বিরোধীদের

গোর্খাল্যান্ডের স্থায়ী সমাধান চেয়ে সরব বিজেপি সাংসদ, বাংলা ভাগের চক্রান্ত দাবি বিরোধীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম সরকারের আমলে বারবার পাহাড়কে আলাদা রাজ্য গড়ার দাবিতে আন্দোলন লক্ষ্য করা গিয়েছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সেই আন্দোলন সামাল দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছিল তৎকালীন বাম সরকারকে। তারপর 2011 সালে রাজ্যে তৃনমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর বারবার পাহাড়ে গিয়ে দার্জিলিং বাংলার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থ্যাৎ বাংলা থেকে পাহাড়কে আলাদা করতে তিনি যে কোনোভাবেই দেবেন না, তা বুঝিয়ে দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন সময় দার্জিলিংকে পৃথক রাজ্য করার দাবি উঠেছে। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের। মাঝেমধ্যেই তৃনমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিজেপির পক্ষ থেকে দার্জিলিং ভাগের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। আর এবার সেই দার্জিলিঙেরই বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তের সংসদে বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হল।

সূত্রের খবর, এদিন সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ বলেন, “মোদী সরকার একাধিক সমস্যার সমাধান করেছে। তাই পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের মানুষ আশা করেন গোর্খাল্যান্ড নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। সেখানকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানিয়ে আসছেন। এটা সাংবিধানিক দাবি। সরকার দুবার বিচ্ছিন্নভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। তাই আমাদের দল 2019 সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।”

আর বিজেপি সাংসদের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে এখন ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। এতদিন তৃনমূলের পক্ষ থেকে যে বিজেপির বিরুদ্ধে পাহাড় বিভাজনের অভিযোগ করা হয়েছিল, বিজেপি সাংসদের গলায় সেই কথা উঠে আসায় তৃণমূল আরও বেশি করে এখন ভারতীয় জনতা পার্টিকে চেপে ধরতে শুরু করবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “বিজেপির নেতারা পাহাড়ে এক, সমতলে আরেক এবং সংসদে অন্য বক্তব্য রাখছেন। তারা বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। আমরা শেষ রক্তবিন্দু থাকতে হতে দেব না। রাজনৈতিকভাবে বাংলা ভাগের চক্রান্ত রুখতে চরম প্রতিরোধ করা হবে।”  একইভাবে এই ব্যাপারে শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপি নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা বলেছে, তার কোনোটা পালন করেনি। পালন করবে বলে এমন সদিচ্ছাও কোনোদিন দেখা যায়নি। সামনে নির্বাচন। তাই তারা বিভিন্ন রকম কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোট রাজনীতি করছেন। আমরা গতি প্রকৃতির দিকে নজর রাখছি।”

কিন্তু কেন এইভাবে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করা হচ্ছে? কেন এই ব্যাপারে অভিযোগ উঠল বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বসু বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাংসদের মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করছে বিরোধীরা। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বিজেপি নীতিগত সিদ্ধান্ত থেকেই বাংলা ভাগের বিপক্ষে‌। এই নিয়ে কোনোরকম দ্বিমত নেই।” সব মিলিয়ে সংসদে বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবার তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছে, তাতে বিজেপি গোটা পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!