এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ছুটি নিয়ে কত বড়াই, ডিএ কবে দেবেন! মমতাকে চরম ফ্যাসাদে ফেললেন সুকান্ত!

ছুটি নিয়ে কত বড়াই, ডিএ কবে দেবেন! মমতাকে চরম ফ্যাসাদে ফেললেন সুকান্ত!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যটাকে শেষ করতে আর বাকি রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। চুরি, দুর্নীতিতে এই রাজ্য ভরে গিয়েছে। আর তার মধ্যে আবার মুখ্যমন্ত্রী ছট পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে বড় বড় গলায় বলছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার ছট পুজোর ছুটি দেয় না। কিন্তু তার সরকার দুদিন ব্যাপী ছুটি দেয়। অর্থাৎ ছুটি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার চেষ্টা করছেন তিনি। কি অবস্থা রাজ্যের? কোথায় কর্মসংস্কৃতি ফেরাবেন, সেখানে কেন্দ্রের সঙ্গে তিনি লড়াই করছেন ছুটি দেওয়া নিয়ে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে যে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে তিনি মন পাওয়ার চেষ্টা করছেন, সেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের কর্মচারীরা সেই ডিএ পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কেন ছুটির পরিবর্তে সেই ডিএ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে পারছেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? সরকারী কর্মচারীদের অভাব বোঝার জন্য তার প্রচেষ্টা কোথায়? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যা বললেন, তাতে এবার চরম ফ্যাসাদে পড়ে গেল তৃণমূল সরকার।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই ছট পুজোয় ছুটি দেওয়া নিয়ে যে বড়াই, তা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার একেবারে মোক্ষম জবাবটা দিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সব সময় ভাগাভাগি করতে চান সম্প্রদায়ের মধ্যে। উনি ছুটি নিয়ে বলছেন। কোথায় ডিএ নিয়ে তো বলছেন না! কেন্দ্রীয় সরকার কত ডিএ দিয়ে দিচ্ছে। রাজ্য সরকার কেন সেই ডিএ দিতে পারছে না? রাজ্যে ছুটি না দিয়ে কর্মসংস্কৃতি ফেরানো উচিত।”

একাংশ বলছেন, এটা তো খুব একটা ভুল কথা নয় যে, সরকারি কর্মচারীদের খুশি করার চেষ্টা করার জন্যই একটা ছুটির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাদের গঠনমূলক উন্নতি কি এতে হচ্ছে? সরকারি কর্মচারীরা তো একবারের জন্যও বলেনি যে, তাদের ছুটির প্রয়োজন। তাদের যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে মহার্ঘভাতা। কেন্দ্রীয় সরকার যেটা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দিতে পারছে, সেটা রাজ্য কেন দিতে পারছে না? কেন সেই ডিএর জন্য রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের চোখের জল ফেলতে হচ্ছে? মশা, মাছি, ঝড়, জলের মধ্যে তাদের লাগাতার আন্দোলন করতে হচ্ছে। সেই দিকে নজর না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ছুটির সংস্কৃতি এনে কোন মহান রাজ-কর্ম করার চেষ্টা করছেন? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে শুরু করছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, ছুটি দিতে হবে না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি সব ছুটি তুলে নিন। প্রত্যেকদিন সরকারি কর্মচারীরা কাজ করার জন্য তৈরি রয়েছে। কিন্তু তাদের যে হকের দাবি, সেই মহার্ঘ ভাতাটা দিয়ে দিন। তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, তিনি সরকারি কর্মচারীদের ভালবাসেন। সব সময় ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে তো রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছেন। এবার সরকারি কর্মচারীদের খুশি রাখতে, তাদের ভোট পেতে ভাবছেন, ছুটি দিয়ে তাদের খুশি রাখবেন। কিন্তু এসবে সরকারি কর্মচারীরা খুশি হবে না। ডিএর দাবিতে রাজ্য জুড়ে যে লড়াই চলছে, হিম্মত থাকলে সেই দাবানলের আগুন নেভাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন মুখ্যমন্ত্রী। তা না হলে তার এই ফ্যাসিস্ট কায়দা আরও বেশি করে প্রকাশ্যে চলে আসবে বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তো ছুটি দেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। তিনি তো সরকারি কর্মচারীদের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না। রাজ্যের অর্থনৈতিক ভান্ডার কে সম্পূর্ণরূপে শূন্য করে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, আর কিছু এই রাজ্যকে দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই এখন পেছনের দরজা দিয়ে একটা ছুটির সংস্কৃতি তৈরি করে সরকারি কর্মচারীদের খুশি রাখার চেষ্টা। কিন্তু এসবের চিরে ভিজবে না মাননীয়া। আপনাকে সরকারি কর্মচারীদের মন পেতে হলে দিতে হবে মহার্ঘভাতা। তাহলেই বোঝা যাবে আপনি জনদরদী নেত্রী। সুকান্তবাবুর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!