এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এত মন্ত্রী জেলে, সত্যিই এগিয়ে বাংলা তৈরি করেছেন মমতা! সুকান্তর বক্তব্যে হাসির রোল!

এত মন্ত্রী জেলে, সত্যিই এগিয়ে বাংলা তৈরি করেছেন মমতা! সুকান্তর বক্তব্যে হাসির রোল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মুখ্যমন্ত্রী সভা মঞ্চ পেলেই এবং বক্তব্য দেওয়ার একটু সুযোগ পেলেই এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, তার বাংলা সর্বসেরা। এমনকি এটা তো মুখ্যমন্ত্রীর কথায় নাম হয়ে গেছে যে, এগিয়ে বাংলা। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সব দিক থেকে এগিয়ে। তবে অন্য কোনো দিক থেকে বাংলা এগিয়ে না থাকলেও একদিক থেকে সত্যিই এই বাংলাকে এগিয়ে বাংলা বলেই সম্বোধিত করা যায়। কিন্তু সেটা কোনো ভাল দিক থেকে নয়। অত্যন্ত জঘন্য এবং নিম্ন রুচির একটি বিষয়ের দিক থেকেই পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে। অন্য কোনো রাজ্যে যা দেখা যায় না, সেটাই হয়েছে সংস্কৃতির বাংলায়। যেখানে একের পর এক মন্ত্রী, বিধায়ক জেলে যাচ্ছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী ভালো বিষয়কে তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে বলে দাবি করলেও, অন্য দিক থেকে অর্থাৎ খারাপ বিষয়ের দিক থেকে এই বাংলা সত্যিই এগিয়ে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এমনই কিছু কথা বলে রাজ্য সরকারকে চরম বিপাকে ফেলে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন এগিয়ে বাংলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “এই রাজ্য তো সত্যিই এগিয়ে, সত্যিই তো এগিয়ে বাংলা। না হলে এতগুলো মন্ত্রীকে কোথাও জেলে যেতে দেখেছেন! পশ্চিমবঙ্গেই এটা সম্ভব।” অনেকে বলছেন, বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে এই কথা শোনার পর আর মুখ্যমন্ত্রী তার পদে থাকতে পারতেন না। অন্য কেউ হলে হয়ত এতগুলো মন্ত্রী জেলে যাওয়ার পর নিজেই তার দায় নিয়ে ইস্তফা দিয়ে দিতেন। কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো ক্ষমতা সর্বস্ব মানুষ। তাই বিরোধীরা যা ইচ্ছে তাই বলে যাক। তিনি দু কান কাটা হয়ে সেই সমস্ত কিছু শোনার পরেও নির্লজ্জ ক্ষমতা ভোগ করে যাবেন‌। আর তারপরেও তিনি দাবি করবেন, এই রাজ্য নাকি উন্নয়নের দিক থেকে এগিয়ে! সত্যিই এটা রাজ্যবাসীর কাছে হতাশা ছাড়া আর কিছু নয় বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, সুকান্ত মজুমদার একদম ঠিক কথাই বলেছেন। রাজ্য তো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য সবদিক থেকেই পিছিয়ে। কোনো দিক থেকেই এগিয়ে নয়। শুধু একদিক থেকেই এগিয়ে এই সাধের বাংলা। মন্ত্রীদের চুরির দিক থেকে এগিয়ে। আর সেই কারণেই মন্ত্রীদের জেল যাত্রাও এই রাজ্যে বেশি। যা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ত লজ্জা হয় না। কিন্তু রাজ্যবাসীর লজ্জা হয়, হতাশা গ্রাস করে। তারা এখন একটাই আফসোস করছেন, কেন এই স্বেচ্ছাচারী সরকারকে ক্ষমতায় আনা হয়েছে! তাই যতক্ষণ না এই সরকার ক্ষমতা থেকে যাচ্ছে, ততক্ষণ পূর্ণাঙ্গ রূপে সব দিক থেকে বাংলা এগিয়ে যাবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের ধ্বংসের আর শেষ নেই। সবটাই নিজের হাতে শেষ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও তিনি রাজ্যকে “এগিয়ে বাংলা” বলে বড় বড় দাবি করেন। কিন্তু কোন দিক থেকে রাজ্য এগিয়ে? এই প্রশ্নের উত্তর মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও নেই। কারণ এর উত্তর একটাই, দুর্নীতিতে রাজ্য এগিয়ে, ঋণের দিক থেকে রাজ্য এগিয়ে, ভাতা ভর্তুকি দিয়ে ধ্বংসের দিক থেকে রাজ্য এগিয়ে এবং সর্বোপরি মন্ত্রীরা যেভাবে জেলে যাচ্ছেন, এবং যেভাবে জেল ভরে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রীদের দ্বারা, তাই সেই দিক থেকেও এই বাংলা এগিয়ে। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!