এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মেগা সমাবেশ আটকাতে মমতার নোংরামি শুরু! আদালতের দ্বারস্থ, কটাক্ষ বিজেপির!

মেগা সমাবেশ আটকাতে মমতার নোংরামি শুরু! আদালতের দ্বারস্থ, কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-আশঙ্কা যেমনটা ছিল, তেমনটাই হয়েছে। এত সহজে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশ বিজেপির সভায় অনুমতি দেবে না, তা আগেভাগেই এক প্রকার পাকা হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই মত তারা আইনি প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছিলেন। তবে প্রশাসনকে মান্যতা দিয়ে তারা 29 নভেম্বর বঞ্চিতদের নিয়ে ধর্মতলায় যে সভা করবে, তার জন্য অনুমতি চেয়েছিল পুলিশের কাছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ সেখানে অনুমতি দিল না। যার ফলে এবার আইনের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলো রাজ্য বিজেপি। মোটের উপর এই পুলিশকে, এই দলদাস প্রশাসনকে জবাব দিতে হলে এবং এই কর্মসূচিকে সাফল্যমন্ডিত করতে হলে বিজেপির এই পদ্ধতি অবলম্বন করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, বারবার করে বিজেপির নেতারা বলে আসছেন যে, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী করছেন, সেটা ভিত্তিহীন। বরঞ্চ রাজ্যের কত মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত করেছেন বিভিন্ন ভাতা থেকে, বিভিন্ন সুবিধে দেওয়া থেকে, তার তালিকা তারা তৈরি করেছেন। নভেম্বর মাসে তারা এই নিয়ে একটা বড় সমাবেশ কলকাতার মাটিতে করবেন। কথা ছিল যে, আগামী 29 তারিখ এই সমাবেশ হবে ধর্মতলার মাটিতে। তবে বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। তাই সেখানে তারা আদালতে ধাক্কাও খায়। কিন্তু এই কর্মসূচিতে বাধা দিলে তারা আবার আদালতে থাপ্পড় খেতে পারে, এটা ভেবে হয়ত পুলিশ এই কর্মসূচিতে অনুমতি দেবে। এমন একটা ধারণা অনেকের ছিল। কিন্তু এখানেও নোংরামো শুরু করে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। তারা শেষ পর্যন্ত অনুমতি দিল না। নিজেদেরকে আবার দলদাস হিসেবে প্রমাণ করলো। তবে এবার তাদেরকে সপাটে থাপ্পর মারতে বিজেপিও পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হাটলো। বিজেপি এবার পুলিশের অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের এই স্বেচ্ছাচারিতা এই প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির। তারা দাবি করছে, রাজ্য পুলিশের নাম আজকে মমতা পুলিশ হয়ে গিয়েছে। বিন্দুমাত্র লজ্জা তাদের নেই। কলকাতার মাটিতে দিনের পর দিন স্বনামধন্য যুবরাজ বসে, মেন রাস্তা আটকে ধরনা করতে পারেন। কিন্তু বাংলার প্রকৃত যারা বঞ্চিত, তাদের নিয়ে বিজেপি একটা সভা করতে পারবে না। কারন সেখানে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না। এই তো রাজ্যের প্রশাসনের অবস্থা তবে আদালত থেকে কি করে সেই অনুমতি নিয়ে আসতে হয়, তা বিজেপি খুব ভালো মতো জানে। তাই আবার আইন ব্যবস্থার কাছে থাপ্পড় খাওয়ার জন্য তৈরি হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে প্রশাসনের মেরুদন্ডকে একদম ভেঙে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজকে পুলিশ তৃণমূল নেতাদের বাড়ির চাকরে পরিণত হয়েছে পুলিশ। বিজেপির এত বড় কর্মসূচি, যেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসার কথা, সেখানে পুলিশের এই বাধা দেওয়ার ঔদ্ধত্য ভয়ংকর। আগামী দিনে হয়ত পুলিশ মন্ত্রীকেও এর মাশুল চোকাতে হতে পারে। এরা আবার দিল্লিতে গিয়ে বলে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি এদের অনুমতি দিচ্ছে না! কিন্তু রাজ্যের মাটিতে ধর্মতলায় সভা করতে চেয়েও বিজেপি যেভাবে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পেল না, তাতে আগামী দিন আইনি ব্যবস্থা যদি অন্য কোনো রায় দেয়, তাহলে চাপে পড়ে যেতে পারে নবান্ন। মুখ পুড়তে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!