এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির অস্ত্র ধার করেই কি বিজেপি ‘বধ’? তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি নিয়ে তীব্র জল্পনা রাজ্য জুড়ে!

বিজেপির অস্ত্র ধার করেই কি বিজেপি ‘বধ’? তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি নিয়ে তীব্র জল্পনা রাজ্য জুড়ে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শুরু হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের চায়ে পে চর্চা। চায়ে পে চর্চা আসলে সাধারণ মানুষের সামনে বসে চায়ের কাপ হাতে অভাব-অভিযোগ শোনাকেই ব্যাখ্যা করে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে জনসংযোগ করতে তৃণমূল শিবিরও পিছিয়ে নেই। তাঁরাও লোকসভা নির্বাচনের পরেই শুরু করেছিল ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একে অপরকে টেক্কা দিতে এ ধরনের কর্মসূচির অবতারণা করা হয়েছে। সম্প্রতি গেরুয়া শিবির থেকে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের অনুকরণে তৃণমূল শুরু করেছে চায়ে পে চর্চা।

যদিও তৃণমূল চায়ে পে চর্চা জাতীয় কোন নাম তাঁদের জনসংযোগের দেয়নি। এই নাম দেওয়া গ্রামবাসীদের একাংশের। সামনে আসছে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই মানুষের মন বুঝতে তাঁদের দোরগোড়ায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এদিন পান্ডুয়াতে জনসংযোগ করতে দেখা গেল তৃণমূলকে। কখনো কারোর বাড়ীর উঠোনে বা কারোর বাড়ির দাওয়ায় চলছে জনসংযোগ। সোমবার বিকেলে যেরকম সরাই-তিন্না পঞ্চায়েতের শ্রীরামবাটি গ্রামের এক বাসিন্দার উঠোনে শুরু হয়েছিল গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা।

আর এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ অসিত চট্টোপাধ্যায়, সভাপতি চম্পা হাজরা, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জীব ঘোষ, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বিরাজেন্দ্র চৌধুরী। তাঁদের হাতেই দেখা যায় মাটির ভাঁড়ে ধূমায়িত চা। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, জনসংযোগ করতে গিয়ে এবার বিজেপির অনুকরণ শুরু করেছে তৃণমূল। ‘দিদিকে বল’ কর্মসূচি রীতিমতো ব্যর্থ বলে দাবি করেছে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তৃণমূলের দাবি, মানুষের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আগের মতই নিবিড়। জনসংযোগে পিছিয়ে পড়েছে আসলে বিরোধীরাই। এদিন শাসক শিবিরের জনবৈঠকেই এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা শিবু হাজরা যেরকম আবেদন করেছেন বার্ধক্য ভাতার, সেরকমই সোমবাড়ি টুডু জানিয়েছেন রেশন কার্ডের আবেদন। কারোর অভিযোগ উঠে এসেছে আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে, কারোর দাবি উঠেছে এলাকার বেহাল রাস্তা সংস্কারের। জানা গেছে, এক ঘন্টার চা-চক্রে গ্রামবাসীদের সমস্ত সমস্যা লিখে নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে এদিন বিজেপি নেতা স্বপন পাল জানিয়েছেন, চায়ে পে চর্চা আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবিষ্কার। তবে বিজেপির কাপে তৃণমূল কোনোভাবেই চা খেতে পারবেনা। মানুষ ওদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে বলে জানান তিনি। পান্ডুয়ার সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন জানান, তৃণমূল চায়ের আড্ডায় বসলেও তাতে কোনো কিছুই লাভ হবেনা। পঞ্চায়েত ভোটে গায়ের জোরে শাসক শিবির জিতেছে। এবার আর তা হবেনা। অন্যদিকে তৃনমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চা খেতে খেতে কথা বলা মানেই তা কাউকে অনুকরণ করা হয়না। এটা বিজেপির রাজনৈতিক দৈন্যের পরিচয়।

শাসক দলের পক্ষ থেকে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা সারা বছরই মানুষের পাশে থাকেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ে পে চর্চা কিংবা দিদিকে বল- যাই হোকনা কেন, শেষ কথা বলবে জনসাধারণ। তাই জনসাধারণকে কাছে টানতেই এখন উঠে পড়ে লেগেছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচনে একে অপরকে কড়া টক্কর দিতে ক্রমশ আগুয়ান হচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তাঁদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে প্রথম সারিতে তৃণমূল এবং বিজেপি। আপাতত বাংলার মসনদ দখলের লড়াই যে জমে উঠেছে তা বলাই যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!