এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শুভেন্দুর পোষাক নিয়েও আপত্তি! আর কত নীচে নামবে রাজ্য? স্পিকারের মন্তব্য নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন!

শুভেন্দুর পোষাক নিয়েও আপত্তি! আর কত নীচে নামবে রাজ্য? স্পিকারের মন্তব্য নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন শুভেন্দু অধিকারী কি বলবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যেত রাজ্যকে। বিধানসভায় মাঝেমধ্যেই তাকে বক্তব্য সংযতভাবে রাখতে হবে বলে সতর্ক করতেন অধ্যক্ষ। যদিও বা তা তিনি কতটা করতে পারেন, সেই নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এবার বিধানসভায় বাংলা দিবসের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় সেই শুভেন্দু অধিকারী কি পোশাক পড়বেন, তা নিয়েও মন্তব্য করতে দেখা গেল রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষকে। যা দেখে অনেকে বলছেন, এবার কি শুভেন্দু অধিকারী ব্যাক্তিগত স্তরে কি খাবেন, কি পড়বেন, সেটাও ঠিক করে দেবে রাজ্য! আদৌ কি কোনো বিধানসভার অধ্যক্ষ নিজের চেয়ারে বসে বিরোধী দলনেতা বা কোনো সদস্যকে এই ধরনের কথা বলতে পারেন?

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভায় পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস করতে চেয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আনা হয়। আর সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিরোধী বিধায়করা “20 জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস” লেখা একটি টি শার্ট পড়ে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন। যে টি-শার্টের পেছনে রয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি। আর তা দেখেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ধরনের পোশাক ভালো লাগে না। এটা বিধানসভার পরিপন্থী।” আর অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে এই ধরনের কথা কোনোভাবেই আশা করতে পারেনি বিরোধী বিধায়করা। যা শুনেই রীতিমত আপত্তি জানাতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিরোধীদের মতে, অধ্যক্ষ নিরপেক্ষতা পালন করবেন, এটাই কাম্য। কিন্তু বারবার বিধানসভার অধ্যক্ষ হিসেবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করেছেন, তিনি শাসকদলের কথামতো কাজ করবেন। কারণ তা না হলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার পয়েন্ট বাড়বে না। এতদিন শুভেন্দু অধিকারী এবং বিরোধী বিধায়কদের বলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা প্রদান করা হলেও, এবার রীতিমত তাদের পোশাক নিয়েও প্রশ্ন তুললেন অধ্যক্ষ। যা দেখে গণতন্ত্রও লজ্জা পাচ্ছে। বিরোধী শিবির এটাও বলছে, এটা তো রীতিমত ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। এবার কি শুভেন্দু অধিকারী কোন পোশাক পড়বেন, সেটাও ঠিক করে দেবেন এই গণতন্ত্র ধ্বংসকারী রাজ্য সরকার?

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীরা এই রাজ্যে তাদের কথা বলার মত পরিবেশ পর্যন্ত পায় না। সভা, সমিতি করতে গেলে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। আর পুলিশ বেশিরভাগ জায়গায় বিরোধীদের সভা করতে দেয় না। ফলে বিধানসভায় যদি বিরোধীরা সরকারের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ করে, সেখানেও কি এবার হস্তক্ষেপ হবে? হস্তক্ষেপ হবে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায়! আর কত নিচে নামবে রাজ্য সরকার! নিরপেক্ষতার মুখোশ পড়ে নিজের একতরফা মনোভাবের পরিচয় দিয়ে অধ্যক্ষ কি ভুলে যাবেন সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা? প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!