এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শাসকদলের সাধের সিঙ্গুরেও থমকে ‘উন্নয়ন’, সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সমস্যা মেটাতে আসরে হেভিওয়েট মন্ত্রী- বিধায়ক

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শাসকদলের সাধের সিঙ্গুরেও থমকে ‘উন্নয়ন’, সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সমস্যা মেটাতে আসরে হেভিওয়েট মন্ত্রী- বিধায়ক

পঞ্চায়েত নির্বাচন অনেকদিন আগেই সম্পন্ন হয়েছে। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেও এখন একদা রাজ্যের পরিবর্তনের গড় সিঙ্গুরে সেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে অপারগ হয়ে উঠছে শাসক দল।

আর এই বোর্ড গঠন না হওয়ার কারনে এবং কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত না হওয়ায় সেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা পড়ে থাকছে। স্বাভাবিকভাবেই জনসাধারণের উন্নয়ন শিকেয় উঠতে শুরু করেছে।

এদিকে সম্প্রতি এই পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি তপন দাশগুপ্ত সহ জেলার অন্যান্য নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

দলীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতায় হুগলী জেলা তৃনমূলের নেতৃত্বকে নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে হুগলি জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস সিঙ্গুরের শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও বেচারাম মান্নার উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা সব ভুলে একসাথে কাজ করুন।”

পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, জেলা তৃণমূলের দুই কার্যকরী সভাপতি অসীমা পাত্র ও প্রবীর ঘোষালকে সঙ্গে নিয়ে সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু নেতায় নেতায় গন্ডগোলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও এখনও এখানে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্নই হয়নি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সিঙ্গুরে স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির 47 টি আসনের মধ্যে 46 টি তে তৃণমূল জিতলেও সেখানে কর্মাধ্যক্ষ পদে কারা থাকবেন তা নিয়ে এই মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং ছাত্র বেচারাম মান্নার অনুগামীদের মধ্যে তীব্র দড়ি টানাটানি শুরু হয়।

জানা যায়, সিঙ্গুর বিধানসভার পঞ্চায়েতগুলি জেতানোর দায়িত্ব এই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উপরে পড়লে সেখানে দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে তার অনুগামীদের কর্মাধ্যক্ষ পদ দিতে হবে বলে সুপারিশ করেন সিঙ্গুরের এই মাস্টারমশাই।

অন্যদিকে তার অনুগামীদের অনেকেই এই পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জিতেছে। তাই তাদেরকেই এই কর্মাধ্যক্ষ পদ দিতে হবে বলে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাল্টা দরবার করেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক তথা সেই মাস্টারমশাই একদা ছাত্র বেচারাম মান্না।

আর দুই নেতার এই দড়ি টানাটানিতে এখন এই সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নিয়োগ আটকে থাকায় শিকেয় উঠেছে এলাকার উন্নয়ন। সব মিলিয়ে এখন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সিঙ্গুরের মাস্টার এবং ছাত্রের এই লড়াইকে দমিয়ে সেই সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ণাঙ্গ বোর্ড ঠিক কবে গঠন করতে সক্ষম হয় শাসকদল! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!