এলাকা দখলের লড়াইয়ে তীব্র গুলি ও বোমার লড়াইয়ে কাঁপছে শিবপুরবাসী, গ্রেপ্তার শাসকদলের ওয়ার্ড সভাপতি ও অনুগামী রাজ্য হাওড়া-হুগলি December 10, 2018 ক্ষমতায় বসার পর থেকেই রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলমত নির্বিশেষে যারাই গণ্ডগোলের সাথে যুক্ত থাকবেন তাদেরই গ্রেপ্তার করতে হবে বলে বারবার পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর এবার সেই গন্ডগোলের ঘটনায় হাওড়ার শিবপুর-অলোকা চড়া এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী তথা তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি শামিম আহমেদ ওরফে বড়েকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনায় সেই বড়ের অনুগামী চাঁদ নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কোন অভিযোগের ভিত্তিতেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ? সূত্রের খবর, গত কয়েক মাস ধরেই এলাকায় এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গে স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতার গন্ডগোল চলছিল। কিছুদিন আগে প্রোমোটিং নিয়ে এই দুইজনের মধ্যে তীব্র গন্ডগোলের সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল বটে, কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তনই হয়নি। এদিকে এই ঘটনায় বিরোধী গোষ্ঠীর কিছু লোকেরা শাসকদলের এই ওয়ার্ড সভাপতি শামিম আহমেদ ওরফে বড়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আর এরপরই গত শনিবার রাতে সেই অভিযুক্ত বড়েকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু শুধুমাত্র এই অভিযোগের ভিত্তিতেই স্থানীয় তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতিকে গ্রেপ্তার করল প্রশাসন? পুলিশ সূত্রের খবর, গত শুক্রবার গভীর রাতে এলাকায় কজন দুষ্কৃতী এসে শূন্যে গুলি ছোড়ে। যা নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। আর এরপরই এলাকার লোকজন ওই দুষ্কৃতীদের তারা করলে তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই এলাকায় বোমাবাজির সৃষ্টি হয়। আর এরপরই স্থানীয় তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতিকে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হলে শিবপুর থানায় প্রবল বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর তখনই পুলিশের পক্ষ থেকে সেই এলাকাবাসীদের লাঠি চার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে পুলিশের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে গত শনিবার স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের বাড়িতে হাজির হন সেই এলাকাবাসীরা। গোটা ঘটনা এবং প্রকৃত দোষীকে গ্রেপ্তার করার আবেদন জানান তাঁরা। আর এলাকাবাসীর কথা শোনার সাথে সাথেই হাওড়ার পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরীকে এই ব্যাপারে সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী অরূপ রায়। কিন্তু সত্যিই কি তাহলে প্রকৃত দোষীকে আড়াল করে পুলিশ এই নির্দোষ তৃণমূলের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি শামীম আহমেদ ওরফে বড়েকে গ্রেফতার করল? এদিন এই প্রসঙ্গে হাওড়ার পুলিস কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা প্রকৃত অভিযুক্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।” এদিকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হলেও শাসকদলের পক্ষ সেই সমস্ত কিছু অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্য সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “এলাকায় বড়ে ভালো কাজ করছিল। তা নিয়ে অনেকেরই হিংসা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে। তবে বাকি দুষ্কৃতীদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে। কোনভাবেই এলাকায় অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।” সব মিলিয়ে এবার শাসকদলের ওয়ার্ড সভাপতিকে গ্রেপ্তার করায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল হাওড়ায়। আপনার মতামত জানান -