এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জয়নগর নিয়ে মহা বিপাকে মমতা! আদালতের কানমলা খাবে রাজ্য, সোচ্চার বিরোধীরা!

জয়নগর নিয়ে মহা বিপাকে মমতা! আদালতের কানমলা খাবে রাজ্য, সোচ্চার বিরোধীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে গিয়েছে জয়নগরের মত ভয়াবহ ঘটনা। যেখানে এক তৃণমূল নেতার মৃত্যুর পর একটা গোটা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে। কিন্তু তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের লজ্জা নেই। বিরোধীরা যখন সেই এলাকায় গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছে, তখন কোনো বিরোধী দলকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ বারবার করে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু সবাই তো মুখ বুজে সহ্য করে নেওয়ার মতো নয়। তাই এবার ত্রাণ দিতে গিয়েও বাধা পাওয়ার পর পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, গতকালই সিপিএমের একটি দল সেই এলাকায় ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। কোনোমতেই তারা এলাকায় ঢুকতে পারেনি। আর তারপরেই গোটা ঘটনায় পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়ে সোচ্চার হন সিপিএমের এই যুবনেতা। আজ তিনি বিচারপতির রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে গোটা বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তারপরেই বিচারপতি তাকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো উজ্জীবিত বিরোধীরা। তাদের দাবি, এবার জয়নগর নিয়েও আদালতে সপাটে থাপ্পড় খাবে রাজ্যের পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন ঘটনায় বার বার আদালতে সমালোচনার শিকার হচ্ছে এই রাজ্য। এই রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। কিন্তু তারপরেও তারা নির্লজ্জের ভূমিকা নিয়ে নিজেদের দলদাস হিসেবে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে বারবার আইনের দরজায় গিয়ে এবার শাসককে শিক্ষা দিতে মরিয়া বিরোধীরাও।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, এই সরকারের লজ্জা, ঘৃণা বলতে কিছু নেই। সামান্য ত্রাণ পর্যন্ত বিরোধীরা নিয়ে যেতে পারবে না এলাকায়। অথচ সেখানকার মানুষ হাহাকার করছে। তবে আদালত যখন অনুমতি দিয়েছে, তখন গোটা ঘটনাটি শোনার পর তারা এমন কোনো নির্দেশ দেবেন, যাতে জয়নগরের মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। কারণ এই সরকারের পুলিশের যে দলদাস মনোভাব, তার বিরুদ্ধে মানুষকে গর্জে উঠতেই হবে। জবাব দিতে হবে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পুলিশের কাছে যখন সুবিচার পাওয়া যায় না, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর শেষ রাস্তা হয় আদালত। বারবার করে বিরোধীরা আদালতে গিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে এসেছে। হয়ত জয়নগর নিয়েও তারা নিজেদের অবস্থানে অনড়। আর যাই হোক, বিরোধীরা তো কোনো ভুল করেনি। তারা তো সেখানে অশান্তি পাকাতে যায়নি। তারা সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও পুলিশের যে বাধাদান, তা নিয়েই তারা এবার আদালতে গিয়েছে। হয়ত জয়নগর নিয়েও এবার আদালতে কানমোলা খাবে এই রাজ্য প্রশাসন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!