এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রসাতলে রাজ্য, ছুটির কথা বলতেই মমতাকে ধুয়ে দিলেন দিলীপ!

রসাতলে রাজ্য, ছুটির কথা বলতেই মমতাকে ধুয়ে দিলেন দিলীপ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-গতকাল থেকেই দিনভর খবরের শিরোনামে ছিল, ছটপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্য। আজকেও তা নিয়ে বহু প্রতিবেদন হয়েছে। কিন্তু বিতর্ক থামছে না মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছেন, কে কতদিন ছুটি দেবে, তা নিয়ে। কিন্তু কাজের নামে অষ্টরম্ভা। কাজ করতে পারেন না, সরকারি অফিসগুলোকে পরিচালিত করতে পারেন না, আর তারজন্য এবার ছুটির সংস্কৃতি প্রয়োগ করে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যের মানুষ চাইছেন, ছুটি নয়, কর্মসংস্কৃতির বাতাবরণ তৈরি হোক বাংলায়। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে ধুয়ে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, এদিন সুকান্ত মজুমদারের পর দিলীপ ঘোষ একই ভাষায় কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ছুটি নিয়ে তিনি যে বড়াই করা মনোভাব দেখাচ্ছেন, তাকে পাল্টা দিয়ে কার্যত রাজ্যকে চাপে ফেলে দেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দিতে পারেন না, ছুটি দেন। সেই কারণেই রাজ্য রসাতলে যাচ্ছে। সেই কারণেই আজকে বাংলার এই পরিস্থিতি।” অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী এই ছুটি নিয়ে বড়াই করা মন্তব্যকে কেউই সহ্য করতে পারছে না। সকলেই তার বিরোধিতা করছেন। কারণ উন্নয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা হতে পারে। কিন্তু কর্মসংস্কৃতি নষ্ট করে কাজ বন্ধ করে ঘরে বসে থাকার যে রেওয়াজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে চালু করেছেন, তা ধ্বংসাত্মক ছাড়া আর কিছু নয়। তাই তার বিরোধিতা করে কেন্দ্র ছুটি নয়, কাজ করাতে বিশ্বাসী বলেই বুঝিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা।

বিজেপির দাবি, রাজ্যকে সবদিক থেকে শেষ করে এখন ছুটি নিয়ে কম্পিটিশন করতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেকটি রাজ্য যখন উন্নয়নের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী ছুটি দিয়ে মানুষকে খুশি করতে চাইছেন। গোটা রাজ্যকে তো এমনিতেই তিনি ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যে কর্মসংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছেন। আর এবার কেন্দ্রকে এই ব্যাপারে খোঁচা দিয়ে নিজেই নিজের হাসির পাত্র হচ্ছেন। গোটা দেশ আজকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করছে। কিন্তু তারপরেও হীরক রানী ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেই চলেছেন। তিনি যা করবেন, সেটাই যেন ঠিক। কিন্তু জনতা তাকে উৎখাত করবেই। আর সেই সময় খুব তাড়াতাড়ি আসছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কোনো দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী বা কোনো জনপ্রতিনিধি অন্তত ছুটি নিয়ে এত বড় বড় কথা বলতে পারেন না। কোথায় রাজ্য কাজের মধ্যে ডুবে থাকবে, প্রত্যেকে কর্মচঞ্চল হবে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে খোঁচা দিচ্ছেন যে, ছট পুজোয় কেন ছুটি দেওয়া হয়নি! তার রাজ্য সরকার দুদিন ছুটি দিয়েছে, যেন তিনি মাথা কিনে নিয়েছেন এই কাজ করে। গোটা দেশ কাজে ব্যস্ত। গোটা দেশ উন্নয়নে ব্যস্ত। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র সততার প্রতীকের পশ্চিমবঙ্গ। এখানে কাজ হয় না‌। এখানে ধ্বংসের রাজনীতি হয়, বেকারের চোখের জল পড়ে। আর তাতে আনন্দে ডগমগ হয়ে ছুটির সংস্কৃতি তৈরি করে রাজ্যকে রসাতলে পাঠান মাননীয়া। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!