এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিষ্ক্রিয় ও অদক্ষ নেতাকর্মীদের ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু দলে, জোর জল্পনা রাজ্যজুড়ে

নিষ্ক্রিয় ও অদক্ষ নেতাকর্মীদের ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু দলে, জোর জল্পনা রাজ্যজুড়ে

অনেকদিন ধরেই আলিমুদ্দিনের অভ্যন্তরে দাবি উঠেছিল, ভালো ফল করতে গেলে বৃদ্ধতন্ত্রকে সরিয়ে নবীনতন্ত্রকে আনতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে চুল পাকানো আলিমুদ্দিনের ম্যানেজারদের পদ থেকে সরে যাওয়া নিয়ে দ্বিধাবোধই হোক, বা নতুনদের সংগঠনে না আসাই হোক, যে কোনো একটা কারণে যত দিন যাচ্ছিল, ততই যেন ভেঙে পড়তে শুরু করেছিল রাজ্যের একদা ক্ষমতাসীন দল সিপিএমের সাংগঠনিক ভিত্তি।

ইতিমধ্যেই সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে কিছুটা বদল এসেছে। প্রবীণ অনেক নেতার বদলে নতুন ও তরুণ মুখের সদস্যদের নিয়ে আসা হয়েছে। আর একের পর এক নির্বাচনে বামেদের পর্যদুস্ত হওয়ার পরে সংগঠনকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্যই যে প্রবীণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে বামেদের সংগঠনে নতুন মুখ এবং নবীনতন্ত্র চালু হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

কিন্তু দলের একাংশ ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, তাহলে কি প্রবীণ ব্যক্তিদের দলের প্রতি দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতার কথা ভুলে গেল আলিমুদ্দিন! সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য কমিটি থেকে যে চারজন ব্যক্তিকে সরানো হয়েছে, তারা স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। আর তাই তাদের থেকে বয়সে কম নেতাদের সংগঠনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

কিন্তু শুধু রাজ্য কমিটিতে এই তরুণ মুখ নিয়ে এসে হবেটা কি! যদি সারা রাজ্যের ক্ষেত্রে সিপিএম এই ফর্মুলা প্রয়োগ করতে না পারে, তাহলে তো প্রতিটি জেলায় যে বৃদ্ধতন্ত্র চলছে, তা তো জারি থাকবে! এদিনই প্রসঙ্গে রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে জবাবই ভাষণে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “রাজ্যস্তরে যে রদবদল করা হল সেটা শুরু মাত্র। এখন এই পদ্ধতিতে জেলা, এরিয়া লোকাল, ব্রাঞ্চ সব স্তরের কমিটি থেকে নিষ্ক্রিয় ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের বাদ দিতে হবে। সংগঠনে নিষ্ক্রিয়তা ও শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না। নিচুতলায় এই কাজ সঠিকভাবে না করা হলে রাজ্য থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

আর সূর্যকান্ত মিশ্রের এই কথা থেকেই পরিষ্কার যে, সংগঠনে তারা আর নিষ্ক্রিয় এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের রাখতে চাইছেন না। কেননা যেভাবে দিনকে দিন রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গা দখল করে নিচ্ছে বিজেপি এবং তারা তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে, তাতে সিপিএম যে একদম পেছনের সারিতে চলে এসেছে, তা বুঝতে পেরেই আবার রাজ্য রাজনীতি শিরোনামে যাওয়ার জন্য তরুণদের নিয়ে এসে ময়দানে ঝাঁপাতে চাইছে বামেরা বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

সব মিলিয়ে এখন নিষ্ক্রিয় এবং অদক্ষ নেতাকর্মীদের ছাটাই করে সিপিএম সংগঠনকে মজবুত করার বার্তা দিতে চাইলেও ছাঁটাই করা নেতাকর্মীরা গোসা করে অন্য শিবিরে নাম লেখালে বামেদের আবার নতুন কোনো সমস্যা তৈরি হয় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!