এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নবান্নের দুই কর্তার সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল, কি আলোচনা? সামনে এলো বড় তথ্য!

নবান্নের দুই কর্তার সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল, কি আলোচনা? সামনে এলো বড় তথ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে যে কিছু নেই, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। তা না হলে পুলিশ প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হামলার মুখে পড়তে হত না। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান গায়েব হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাকে পুলিশ জানা সত্ত্বেও কেন ধরছে না, তা নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে রাজভবন। রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সেই বৈঠকের পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তাহলে কি এবার এই ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে রাজভবন? কিন্তু সেরকম কিছু না হলেও কি আলোচনা হলো তার দিকে একটা নজর ছিল সকলের। অবশেষে এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে তেমন কিছু ব্যাখ্যা না করলেও, বেশ কিছু জ্বলন্ত বিষয় নিয়ে যা আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেন বাংলার সংবিধানিক প্রধান। তবে গোটা বিষয়টি অবশ্য খোলসা করতে চাননি তিনি। তবে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হেনস্থার ঘটনাটি রয়েছে, সেটা স্পষ্ট করে দেন রাজ্যপাল।

একাংশ বলছেন, রাজ্যপাল কি স্পষ্ট করলেন, কি স্পষ্ট করলেন না, এটা নিয়ে রাজ্যের মানুষ আগ্রহী নন। রাজ্যের মানুষ এখন তাকিয়ে রয়েছেন, কবে চোরেরা জেলে যাবে এবং যারা তদন্তকারী সংস্থার ওপর হামলা করেছে, তাদের কবে গ্রেপ্তার করে ভেতরে ঢোকানো হবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যখন জানেন, শেখ শাহজাহান কোথায় রয়েছে, সেখানে পুলিশ তার খোঁজ পাচ্ছে না, এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। ফলে রাজ্যপাল যদি পুলিশ প্রশাসনের ওপর চাপ দেন এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিবকে এই গোটা বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন, তাহলে শেখ শাহজাহানকে খুঁজে বের করা খুব একটা কঠিন হবে না বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে জবাব তলব করতেই পারেন। কিন্তু এবার রাজ্যের মানুষ আশা করছে অ্যাকশনের। তৃণমূল নেতাদের এত বড় ক্ষমতা যে, তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছেন। তাই এদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ না নিলে রাজ্যের মানুষ হতাশ হবেন। অবিলম্বে চোরেদের জেলে পাঠাতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সরকারের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ রয়েছে যে, তা গুণে শেষ করা যাবে না। বিভিন্ন জায়গায় কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সব জায়গায় দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা নেই। তিনি বড় বড় গলায় আবার দাবি করছেন, কেন্দ্র কেন টাকা দিচ্ছে না! তবে যত সময় যাচ্ছে, ততই রাজ্যের মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। তারা দেখতে চাইছেন, চোরেদের জেলে যাওয়ার দিন কবে আসবে? আসল মাথা কবে ধরা পড়বে! তাই সন্দেশখালির ঘটনার পর মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক প্রশাসনের অন্দরে একটা বড়সড় ধাক্কা দিক। শিক্ষা দিক এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!