এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যের বক্তব্য কি? নারদকান্ডে অস্বস্তির মাঝেই বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের!

রাজ্যের বক্তব্য কি? নারদকান্ডে অস্বস্তির মাঝেই বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নারদকান্ড নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে তাদের জামিনের ব্যাপারে কি নির্দেশ আসে, তার দিকে নজর রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। তবে নারদ কান্ড নিয়ে যখন তৃণমূলের চিন্তা এবং অস্বস্তি বাড়ছে, ঠিক তখনই রাজ্যের শাসকদলের চিন্তা বাড়িয়ে সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়ে জবাব তলব করা হল।

মূলত, রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছিল। যেখানে একাধিক বিজেপি নেতা, কর্মী তৃণমূলের পক্ষ থেকে হামলার ঘটনায় মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর সেই রকমই একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। আর সেই বিষয়ে এবার রাজ্য সরকারের জবাব তলব করল দেশের শীর্ষ আদালত। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শাসক দল বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2 মে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছিল। আর তারপর থেকেই তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে সরব হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা যায়, কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকায় বিজেপির যুব মোর্চার এক কর্মী অভিজিৎ সরকারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর এরপরই সেই নিহত বিজেপি কর্মীর ভাই বিশ্বজিৎ সরকার সুপ্রিমকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি করে একটি মামলা করেন।

আর সেই মামলার অঙ্গ হিসেবে আজ রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেন নিহত বিজেপি কর্মীর ভাইয়ের আইনজীবী। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে এবার রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়ে জবাব তলব করা হল। সূত্রের খবর, বিচারপতি বিনীত সরন এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের অবসরকালীন বেঞ্চের পক্ষ থেকে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করা হচ্ছে‌। এমনকি আগামী মঙ্গলবার এই বিষয়ে শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন এই ব্যাপারে রাজ্য সরকার কি রিপোর্ট জমা দেয়, তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, নারদ কান্ডে সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, তার দিকে নজর রয়েছে সকলের। দলীয় নেতা, মন্ত্রীরা জামিন পাবেন কিনা, তা নিয়ে রীতিমত উৎকণ্ঠায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তারমাঝেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরম্বনা বাড়িয়ে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় যেভাবে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের জবাব তলব করা হল, তাতে যথেষ্ট ব্যাকফুটে ঘাসফুল শিবির।

বলা বাহুল্য, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি এই বিষয়েকে হাতিয়ার করে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল তারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় সফর করতে শুরু করেছিলেন রাজ্যপাল। তবে এই বিষয়টিকে খুব একটা ভালো চোখে নেয়নি তৃনমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল তাদের।

কিন্তু এরমাঝেই ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার ঘটনায় বড়সড় নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এখন সুপ্রিম কোর্টে যদি রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে সঠিক বক্তব্য জানতে না পারে, তাহলে তাদের বিড়ম্বনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!