এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তল্লাশি তো শুধুই ট্রেলার, আজই কি গ্রেপ্তার হবেন মন্ত্রী? জল্পনা বাড়ালেন শুভেন্দু!

তল্লাশি তো শুধুই ট্রেলার, আজই কি গ্রেপ্তার হবেন মন্ত্রী? জল্পনা বাড়ালেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে যেখানে হাত দেওয়া যাচ্ছে, সেখানেই চুরির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা নেতা মন্ত্রীদের জেলে যাওয়াতেই স্পষ্ট‌। আর এবার পৌর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সাত সকালে বেশ কিছু হেভিওয়েটের বাড়িতে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার মধ্যে অন্যতম রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর দুটি বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাকে প্রতিহিংসা পরায়ন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এসবের মাঝেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তা অত্যন্ত মারাত্মক।

সকলের একটাই প্রশ্ন, এর আগেও তো অনেক হেভিওয়েটের বাড়িতে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন, আবার অনেককে জেরা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আজকেও কি তেমন কিছু হবে! নাকি কঠোর ব্যবস্থা নেবে ইডি? এদিন সেই ব্যাপারে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু কি এমন বললেন শুভেন্দু অধিকারী? প্রসঙ্গত, এদিন সুজিত বসুর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির পৌঁছে যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সুজিত বসু যে পৌর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, এটা আমি বারবার বলেছি। ওনার দুই আত্মীয়কে উনি চাকরি দিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পৌরসভায়। তাই ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন। শীতের জামা কাপড়ও সঙ্গে রাখবেন।”

আর বিরোধী দলনেতার এই মারাত্মক বক্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আজকেই সুপার অ্যাকশন নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? আবার কি গ্রেফতার হতে চলেছেন বড়সড় কোনো হেভিওয়েট? অনেকে বলছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি করবে, তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যে দুর্নীতির ঘটনা জানেন, তার ভিত্তিতেই তিনি দাবি করেছেন যে, এদের ভেতরে যাওয়া উচিত। আর সেই কারণেই তিনি এই কথা বলেছেন। কারণ রাজ্যের মানুষ এতদিন অনেক জেরা, অনেক তল্লাশি দেখেছে। কিন্তু এবার তারা চোরেদের জেল যাত্রা দেখতে চাইছে। ফলে ধৈর্যের বাঁধ যখন সবার ভাঙছে, তখন কেন্দ্রীয় সংস্থা সেটা অনুভব করেই এবার সুপার অ্যাকশন নেওয়ার খুব কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, সুজিত বসু পৌর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি অনেক অবৈধ চাকরি দিয়েছেন। তাই তার বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা গিয়েছে। এতদিন তারা অনেক তথ্য জোগাড় করেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অবিলম্বে চোরেদের গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানো উচিত। জেরা, তল্লাশি অনেক হয়েছে। এবার দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, দিনের শেষে সুজিত বসু বা তাপস রায়ের ক্ষেত্রে কি হবে, সেটা সময় বলবে। তাদের বাড়ি থেকে ইডি আধিকারিকরা খালি হাতে বেরিয়ে আসবে, নাকি সাথে কাউকে বগল দাবা করে নিয়ে বেরোবে, সেটা গতি প্রকৃতির দিকে নজর রাখলেই বোঝা যাবে। কিন্তু সাত সকালে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার পর বিরোধী দলনেতা যে কথা বললেন, তাতে চাপ বাড়ছে শাসক শিবিরের মধ্যে। তবে আর যাই হোক, শেষের সময় চলে এসেছে। এবার ধীরে ধীরে তল্লাশি, জেরার পর চোরেদের জেলে যাওয়ার পালা শুরু হবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!