এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অমিত শাহের নজরে বাংলা, ভয়ংকর অবস্থা হবে চোরেদের! আশায় বিজেপি!

অমিত শাহের নজরে বাংলা, ভয়ংকর অবস্থা হবে চোরেদের! আশায় বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সন্দেশখালিতে যাওয়ার পর যেভাবে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এখনও পর্যন্ত সেটা আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা থামছে না। আজ আবার তারা রাজ্যের এক মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে হানা দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে তল্লাশি এবং জেরা চলছে বলে খবর। দিনের শেষে কি বেরিয়ে আসে, সেটা সময় বলবে। তবে তৃণমূলের নীচুতলার নেতারা ভাবছেন যে, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আটকানোর জন্য যেখানেই তারা যাবে, সেখানেই বিক্ষোভ দেখাবেন, তাদের ওপর হামলা করবেন। কিন্তু সেই দিন এবার শেষ হয়ে এলো। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিস্তর রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জমা পড়েছে বলে খবর। আর তার ভিত্তিতেই যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, আগামী দিনে তাদের ভয়ংকর পরিণতি হতে পারে। এদিন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তারপর দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে, চোরেদের বিরুদ্ধে একটা বড় কিছু পদক্ষেপের আশা করতে শুরু করছেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু কি এমন বললেন লকেটদেবী?

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পৌঁছে যাওয়ার পরেই এলাকায় ভিড় জমতে শুরু করে। তবে সন্দেশখালির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারা মুহূর্তের মধ্যে এলাকা ফাঁকা করে দেয়। বুঝিয়ে দেয় যে, হামলা করতে এলে তারাও ছেড়ে কথা বলবে না। আইন রক্ষা করার জন্য যা করার তা করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন সেই ব্যাপারে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলেই তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। এদিন তিনি বলেন, “যারা চুরি করেছে, তাদের বাড়িতে যদি চোর ধরতে যায়, এবং যারা তদন্ত করছে ,তারা আক্রান্ত হয়, তাহলে তদন্তটা হবে কি করে? কিন্তু সমস্যার কোনো কারণ নেই। যারা কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপর হামলা করেছেন, তাদের সব খবর আমাদের গৃহমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রয়েছে। আগামী দিনে তাদের ভয়ংকর পরিণতি হবে।”

একাংশ বলছেন, এটাই তো চাইছেন বাংলার মানুষ যে, কবে চোরেরা জেলে যাবে! যে চোরেদের ধরার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা যাচ্ছে এবং সেখানে তাদের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, সেই অপরাধীরা কবে জেলের ভেতরে ঢুকবে! সেই দিন দেখার জন্য তো মুখিয়ে আছে গোটা রাজ্য। ফলে যদি সত্যি সত্যিই অমিত শাহের কাছে এই ব্যাপারে রিপোর্ট জমা পড়ে এবং তার ভিত্তিতে তিনি কোনো সুপার অ্যাকশন নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন, তাহলে সেই অপেক্ষা নিয়ে অবশ্যই উৎসাহ তৈরি হয়েছে বিজেপি কর্মী থেকে শুরু করে গণতন্ত্র প্রেমী সাধারণ মানুষদের মধ্যে বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। তা না হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা হওয়ার পরে শেখ শাহজাহান লুকিয়ে থাকতে পারতেন না। এই পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সব কিছু নজরে রেখেছেন। এই রাজ্যকে কি করে টাইট দিতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী দিনে এর করুণ ফলাফল ভুগতে হবে তোলামূলের নেতাদের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যে তৃণমূল নেতারা ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছেন। তার কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে গেলে তাদের ওপর তারা হামলা করতেও বাকি রাখছেন না। তবে এর ফলাফল কি ভয়াবহ হতে পারে, সেটা তারা ভাবতেও পারেননি। যার কারণে আজকে বাঘ বলে পরিচিত শেখ শাহজাহানকেও গর্তের ভেতরে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু করুণ পরিণতি শুধু সময়ের অপেক্ষা। যারা কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপর হামলা করবেন, যারা তদন্তে বাধা দেবেন, তাদের কি দশা হতে পারে, তা অন্তত শেখ শাহজাহানকে দেখে বোঝা উচিত তৃণমূলের চুনোপুটি নেতাদের। তা না হলে আগামী দিন বড়সড় বিপদ অপেক্ষা করছে এই রাজ্যে শাসকদলের জন্য। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!