এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রিপোর্ট নয়, পদক্ষেপ চাই! লোকসভার দামামা বাজতেই সোচ্চার শুভেন্দু!

রিপোর্ট নয়, পদক্ষেপ চাই! লোকসভার দামামা বাজতেই সোচ্চার শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশে এত বড় লোকসভা নির্বাচন হয়। বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যে পরিমাণ সন্ত্রাস হয় প্রত্যেকটি ভোটে, তা আর অন্য কোনো রাজ্যে হয় না। যেভাবে রক্তের হোলি খেলা চলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বাংলায়, তাতে সত্যি এই বাংলাকে দেখে লজ্জা হয় গোটা দেশের। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আবার একবার গণতন্ত্রকে হিংসাত্মক করার চেষ্টা হয়তো এই সরকার প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে করবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণে এই নির্বাচন হওয়ার কারণে সেই সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যায় ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। যেখানে দুই দিনের পর্যালোচনা বৈঠক শুরু হয়েছে দিল্লিতে। আর সেখানেই বিভিন্ন রাজ্যের কাজ থেকে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আর সেই ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বড় দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। পশ্চিমবঙ্গের সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে কিভাবে নির্বাচন করতে হবে এবং কি পরিস্থিতি এবং কি পরিমান নিরাপত্তা প্রয়োজন, তা ব্যাখ্যা করলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “শুধু রিপোর্ট তলব করলে হবে না। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে নির্বাচন হয়, আর কোথাও এরকম হয় না। এখানে প্রশাসনকে ব্যবহার করে রক্তের হোলি খেলা হয়, গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করা হয়। তাই শুধু রিপোর্ট চাইলে হবে না। পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তা না হলে মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না এবং পশ্চিমবঙ্গকে হিংসা মুক্ত করা যাবে না।” একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা তো উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়। পশ্চিমবঙ্গে কিভাবে নির্বাচন হয়, সেই সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। তাই এখানে যে দলদাস প্রশাসন রয়েছে এই সরকারের, আগে তাদের বদল করতে হবে। তা না হলে নিরপেক্ষ প্রশাসন দিয়ে নির্বাচন করানো না গেলে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বহিঃপ্রকাশ অন্তত পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে হবে না। তাই কমিশন যখন লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রস্তুতি বৈঠক করছে, তখন বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বড় দাবি করে মানুষের কথা তুলে ধরলেন শুভেন্দু অধিকারী বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, প্রত্যেকটি নির্বাচনে হিংসার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের দখলে সবকিছু আনার জন্য তাদের চেষ্টার শেষ নেই। এক্ষেত্রে ভোটের আগে এবং পরে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই বাংলার বুকে। যা আর কোথাও হয় না। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাতে এক ফোঁটাও রক্ত না ঝড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে। নিরপেক্ষ করতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। তাহলেই অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র পূজিত হবে বাংলায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যে পরিস্থিতি ছিল, তাতে বিজেপি যতসংখ্যক আসন পেয়েছে, তার থেকে আরও অনেক বেশি আসন তারা পেতে পারত। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে স্থানীয় প্রশাসন এবং তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। যাদের অনেক ক্ষেত্রেই আটকানো হয়ত সম্ভব হয়নি। তাই এবার যাতে তেমন কিছু না হয় এবং মানুষ যাতে তার ভোটটা দিতে পারে, সেটাই নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আর যদি নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সাধারণ মানুষ, তাহলে তৃণমূলের পরাজয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই নির্বাচনের আগে শুধু রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেই হবে না। কমিশনকে নিতে হবে সঠিক পদক্ষেপ। তাহলেই গণতন্ত্র রক্ষিত হবে বাংলায়। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!