এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমপানের টাকা যাচ্ছে শাসক ঘনিষ্টের পকেটেই! ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের, ব্যাপক হারে বাড়ছে ক্ষোভ

আমপানের টাকা যাচ্ছে শাসক ঘনিষ্টের পকেটেই! ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের, ব্যাপক হারে বাড়ছে ক্ষোভ


ভয়াবহ দূর্যোগ আমপানের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়েই দিনকে দিন অভিযোগের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আর আশ্চর্যজনকভাবে এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় অভিযুক্ত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এবার চাকদহ ব্লকের অন্তর্গত তাতলা 2 গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতিপূরণের টাকা মানুষের কাছে পৌঁছনো না নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বুধবার চাকদহের বিডিওর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ক্ষতিপূরণের টাকা সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তাতে প্রচুর শাসক দলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ ছিল। যাদের বাড়িঘরের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি। আর তারাই এই টাকা পেয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে মূল অভিযোগ উঠছে, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ সরকার এবং প্রধান রাধা দের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ বর্ধনের স্ত্রী ঝুমা বর্ধনের এই ক্ষতিপূরণের প্রাপকের তালিকায় নাম রয়েছে। এদিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ঝড়ের রাতে তার ঘরের টিন উড়ে গিয়েছিল। পরে তা চালে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘরের গাথনি ইটের হওয়ায় তার কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু কেন তিনি এখানে আবেদন করেছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে ঝুমাদেবী বলেন, “পঞ্চায়েতের লোক আবেদন করতে বলেছেন। তাই আবেদন করেছিলাম।”

অন্যদিকে এই পঞ্চায়েতের সদস্য রীতা ঘোষের পরিবারও ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছে বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে রীতাদেবীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমার ঘরের প্রায় ত্রিশটি টালি ভেঙে গিয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকার একাংশ দিয়ে এই টালি কিনব।” কিন্তু শুধুমাত্র টালি লাগাতে তো এত টাকা লাগবে না! সেক্ষেত্রে বাকি টাকা দিয়ে তিনি কি করবেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রয়োজনে আমি ওই টাকা ফেরত দেব।” তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সেখানে বেছে বেছে তৃণমূল নেতারা এবং তার ঘনিষ্ঠরা সেই ক্ষতিপূরণের সাহায্য পাওয়ায় এখন রীতিমত বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। এদিন এই প্রসঙ্গে চাকদহের বিডিও দেবজিৎ দত্তকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

তবে এই ব্যাপারে ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ সরকার বলেন, “আমি যতদূর জানি প্রকৃত গরীবরাই টাকা পেয়েছেন। তবে কোথাও কোনো অনিয়ম হলে প্রশাসন তদন্ত করবে।” কিন্তু কোথায় হচ্ছে সঠিক তদন্ত? ওপর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাহায্যের জন্য যাতে কোনো দুর্নীতি না হয়, তার জন্য কড়া বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু নিচুতলায় যেভাবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা আর্থিক সাহায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং বেছে বেছে তৃণমূল নেতা এবং তার ঘনিষ্ঠরা সেই সাহায্য পাচ্ছেন, তাতে প্রশাসনের ওপর রীতিমতো ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের। যার ফলে বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে রাজ্যের শাসক দলকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!