এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ, ব্যাবস্থা না নিলে চরম পদক্ষেপ নেবেন নেতা নেত্রীরা? ক্রমে বাড়ছে জল্পনা!

দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ, ব্যাবস্থা না নিলে চরম পদক্ষেপ নেবেন নেতা নেত্রীরা? ক্রমে বাড়ছে জল্পনা!


মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগরের সাংসদ, দলের নেতা কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তাঁকে দলের দায়িত্বে দেখতে চাইছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে পাল্টেছে পরিস্থিতি।এবার জানা যাচ্ছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে জেলায় তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরোধ চরম আকার ধারণ করলো। যার জেরে নেতারা সেই অসন্তোষ চেপে না রেখে নেত্রীর বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। নেত্রীর বিরুদ্ধে যা যা অসন্তোষ আছে সেই সব ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আগেই তেহট্টের বিধায়ক তথা অবিভক্ত জেলা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক তথা অবিভক্ত জেলা কমিটির প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি কল্লোল খাঁ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ জানিয়েছিলেন শীর্ষ নেতৃর্ত্বকে। তাদের অভিযোগ ছিল , তাঁদের কিছু না জানিয়েই দলের মধ্যে বড় একটা সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হয়েছে মহুয়া মিত্রের নেতৃত্বে।

প্রসঙ্গত একথা কারুর অজানা নয় যে প্রথম থেকেই দলের কল্লোল খাঁ, গৌরীশঙ্কর দত্ত, উজ্জ্বল বিশ্বাস, অবনীমোহন জোয়ারদার, রুকবানুর রহমানদের মতো প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর। সময় যত গেছে, কমার বদলে ততই বেড়েছে সেই দূরত্ব। আর এ বার করোনা ও আমপান পরবর্তী পরিস্থিতিতে জেলার একাধিক ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন জেলা কমিটি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে সাংসদ তথা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে জেলায় তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছিল, সেই নিয়ে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে অৰ্থ চট্ট্যোপাধ্যায়কে ফোনও করেছিলেন জেলার নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তারপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষনা করেন যে, জেলা সভাওপতিরা দলের শীর্ষ নেতৃর্ত্বকে না জানিয়ে কোনো পরিবর্তন করতে পারবেন না সংগঠনে , কিন্তু তার পরেও মহুয়া মৈত্র কোনো হেলদোল দেখা যায়নি , যা নিয়েই ক্ষোভ বেড়েছিল। এদিকে সেই খুব মিটতে না মিটতেই এবার ফের পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে দলের অন্দরেই অস্বস্তি বাড়িয়েছেন মহুয়া মৈত্র। যার জেরেই দলে অসোন্তষ আরো বেড়েছে।

অনেকেই মুখ খুলেছেন। জেলার তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অসন্তোষের কথাও।তবে সূত্রের খবর, এবার এই নিয়ে জেলার নেতা নেত্রীরা দলের শীর্ষ নেতৃর্ত্বর কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাবেন। শুধু তাই নয়, দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলা নিয়ে কি ব্যাবস্থা নেন শীর্ষ নেতৃত্ব সেটা দেখবেন। যদি কোনো সদুত্তর না পান তবে অন্য ভাবনা চিন্তা করবেন। তবে সেটা কি তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ নেতারা। অনেকের মতে আর পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নয়, সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হবেন তাঁরা। কেননা তাঁকে দেখেই দল করেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তাদের কাছে অন্যতম ভরসার নাম হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে মুখ খোলেননি জেলার নেতারা। আর এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!