এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভার্চুয়ালি প্রচারে করোনা নিয়ে বড় বার্তা মোদীর, জয়ের মন্ত্র বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী!

ভার্চুয়ালি প্রচারে করোনা নিয়ে বড় বার্তা মোদীর, জয়ের মন্ত্র বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথা ছিল, সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে বাংলায় প্রচার করতে আসবেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থাকার কারণে তিনি এই বঙ্গ সফর বাতিল করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা হলেও হতাশ হয়ে পড়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা। তবে ভার্চুয়ালি যে প্রচার করবেন, তা জানিয়ে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

আর সেই মত করেই রাজ্যে না এলেও শুক্রবার ভার্চুয়াল সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে দিল্লি থেকে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে ভাষণের একদম শুরুতে করোনা বিধি মেনে সকলে যাতে ভোটগ্রহণ পর্বে অংশগ্রহণ করেন, তার জন্য বাংলার মানুষকে আবেদন জানালেন নরেন্দ্র মোদী। এক্ষেত্রে করোনা থেকে বাঁচার জন্য সকলকে সর্তকতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনা থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক থাকুন। নিজেদের সাবধানে থাকতে হবে। বৈজ্ঞানিক এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ শুনে আমাদের চলতে হবে। টিকা নেওয়ার পরেও মাস্ক পড়তে হবে। পুরো মুখ ঢাকতে হবে। দাওয়াইভি করাই ভি, এটাকে মন্ত্র বানাতে হবে। বাংলা জিতবে। বিজেপি জিতবে। আমরা একসঙ্গে এগোবো।”

অর্থাৎ করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় সরকারের খামখেয়ালিপনার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন সরাসরি করোনা নিয়ে যাতে সকলে সচেতন থাকেন, তার জন্য ভার্চুয়ালি প্রচারের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করে ভারতবর্ষে এগিয়ে যাবে বলেও দাবি করতে দেখা গেল তাকে। তবে করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করে যেমন ভারতবর্ষ এবং বাংলা এগোবে, ঠিক তেমনই বিজেপি বাংলায় জয়লাভ করবে বলেও এদিনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বারবার করোনা ভাইরাস যখন বাড়ছে, তখন প্রচার প্রক্রিয়ায় রাশ টানার কথা বলা হয়েছিল‌। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের মত করে অবাধে প্রচার করতে শুরু করেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল করোনা ভাইরাস। আর এই পরিস্থিতিতে রোড শো এবং মিছিল বন্ধ করে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

সেদিক থেকে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় করোনা পরিস্থিতি যখন সঙ্কটজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, তখন প্রচার করতে আসবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। এমনকি বাংলায় বহিরাগতরা আসছে, তাই করোনা ভাইরাস আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আর এই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেই প্রচার থেকেও করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করে সকলে এগিয়ে যাবে বলে আত্মপ্রত্যয়ী মন্তব্য করলেন নরেন্দ্র মোদী। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউকে আটকাতে সকলে যে তৎপর, তা প্রধানমন্ত্রীর কথার মধ্যে দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!