এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার বিজেপি কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মোদী, হতবাক রাজনৈতিক মহল!

বাংলার বিজেপি কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মোদী, হতবাক রাজনৈতিক মহল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গ সফর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থাকার কারণে আজকের বাংলা সফর বাতিল করেছেন তিনি। তবে টুইট করে একথা জানানোর পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভার্চুয়ালি তিনি সেখানকার বিজেপি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে বক্তব্য রাখবেন। আর সেই মত করেই শুক্রবার ভার্চুয়ালি মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে বাংলা সফর চূড়ান্ত করেও শেষ পর্যন্ত আসতে না পারায় দলের কর্মীদের কাছে কার্যত ক্ষমা চাইলেন নরেন্দ্র মোদী। যা দেখে কিছুটা হলেও হতচকিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্য কোনো নেতাদের মধ্যে কথা দিয়ে কথা না রাখার পর তেমনভাবে ক্ষমা চাওয়া তো দূর অস্ত, আফসোস পর্যন্ত করতে দেখা যায় না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী দলের সর্বোচ্চ নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও, যেভাবে নিচুতলার বিজেপি কর্মীদের কাছে সফরসূচী কাটছাঁট করবার জন্যে ক্ষমা চেয়ে বসলেন, তা বিজেপি নেতা কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে অনেকটাই হতচকিত করে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, সিউড়ি এবং দক্ষিণ কলকাতায় সভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়ে দেন, তিনি এই সভাগুলোতে সশরীরে হাজির থাকতে পারবেন না। আর তার বদলে শুক্রবার ভার্চুয়ালি সভা করার সময় এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “মালদহ, মুর্শিদাবাদ, সিউড়ি এবং দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমার সভার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু আজ আসা সম্ভব হল না।” আর দলের সর্বোচ্চ নেতা হয়েও যেভাবে সভার প্রস্তুতি নেওয়া বিজেপির নীচুতলার নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী, তা রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে আরও একবার প্রদীপের আলোয় নিয়ে এল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, এত বড় নেতা হয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নিচুতলার নেতাকর্মীদের সম্মান জানালেন, তা কার্যত নজিরবিহীন। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়েও সভায় আসতে না পারার জন্য বিজেপি কর্মীরা শুধুমাত্র প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে দুঃখপ্রকাশ করে তাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী।যা বর্তমান রাজনীতিতে অনেকটাই শিক্ষণীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের নমনীয় বার্তা নিঃসন্দেহে বিজেপির নেতা কর্মীদের অনেকটাই উজ্জীবিত করল বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!