এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল চালাতে গেলে কি টাকা নিতে হয়? বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল নেত্রীর, অস্বস্তি তুঙ্গে

তৃণমূল চালাতে গেলে কি টাকা নিতে হয়? বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল নেত্রীর, অস্বস্তি তুঙ্গে

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবার কাট মানি, তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তবে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বারবার এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু এবার দলের কাটমানি নেওয়ার কথা প্রকারান্তর স্বীকার করে নিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। গতকাল পূর্ব বর্ধমানের গলসির মোহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রিঙ্কু ঘোষ জানালেন যে, দল চালাতে গেলে টাকা নিতে হয়। কারণ দলের অনেক খরচ আছে। তাঁর এই বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে চেপে ধরতে শুরু করেছেন এই ইস্যু নিয়ে।

প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহ গ্রামে টেন্ডার নিয়ে বারবার নানা অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে গোহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিমল ভক্ত জানিয়েছেন যে, পঞ্চায়েত প্রধান টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনের পরিবর্তে অফলাইনে করতে চান। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন যে, অফলাইনে যদি টেন্ডার ডাকা হয়, তবে কাজ তাড়াতাড়ি হবে। একথা তাঁকে জানিয়েছেন বিডিও। পরে, অবশ্য প্রধান এ কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ কথা বিডিও নন, দলের কিছু নেতা তাঁকে জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বিমল ভক্ত আরো জানান যে, অফলাইনের মাধ্যমে যদি টেন্ডার ডাকা হয়, তাহলে অনেক নেতার সুবিধা হয়ে থাকে। নিজেদের পছন্দমতো কন্ট্রাক্টটারকে দিয়ে কাজ করিয়ে সেখান থেকে ভালো রকম শতাংশ নেওয়া যায়। আর একাজ যদি অনলাইনে করা হয়, তবে তা সম্ভব হয় না। কিন্তু তাঁরা এরকম চাইছেন না। তাঁরা চাইছেন, পঞ্চায়েতের কাজে স্বচ্ছতা আনা হোক। কারণ লকডাউন এর জন্য দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতের কাজ আটকে রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, দলের কিছু মানুষ প্রধান পঞ্চায়েত প্রধানকে এই ধরনের বুদ্ধি দিচ্ছেন, আর পঞ্চায়েত প্রধান সেসব মানুষের কথা মতোই কাজ করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিমল ভক্তর এই বক্তব্যের পাল্টা জবাবে পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষ জানিয়েছেন যে, দল চালাতে গেলে টাকার প্রয়োজন হয়। কারণ দলের একটা খরচ আছে। দলের ফান্ডে টাকা রাখা হয়। দলের অনেক কিছুই দরকার। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, এটাকে কখনোই কাটমানি বলা যাবেনা। কোন প্রকল্পের জন্য যদি কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা নেয়া হয়, তবে তাকে কাটমানি বলা হয়। দল চালাতে গেলে টাকার দরকার হয়, সেটা সকলেই জানেন। টাকা নেওয়ার জন্যই কি অফলাইনে টেন্ডারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে? তা তিনি জানেন না। অফলাইনে টেন্ডার করলে যে টাকা নেয়া হয়, সেটা তিনি জানতেন না।

পঞ্চায়েত প্রধানের এই মন্তব্য তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, যারা টাকা নেবেন, আর টাকা নিয়ে ধরা পড়বেন তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। তাদের পদ পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হতে পারে। নিচুতলার খবর তাঁর কাছে আসে না। এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারবেন জেলা নেতৃত্ব। তবে, টাকা নেবার খবর যদি তিনি জানতে পারেন, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষের এই বক্তব্য যথেষ্ট বিপাকে ফেলে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে, এমনটাই একাধিক বিশ্লেষকদের মতামত। কারণ তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাট মানি, তোলাবাজি নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে বিরোধী দল মূলত বিজেপির পক্ষ থেকে। এবার পঞ্চায়েত প্রধান এমন বক্তব্য রাখার পর, এ বিষয়ে তৃণমূলকে প্রবল কটাক্ষ করেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!